লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে মিথ্যা গণধর্ষণ মামলায় দুই দিনমজুরকে হয়রানির অভিযোগ

0
1273

বিশেষ প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে মিথ্যা গণধর্ষণের মামলায় স্থানীয় দুই দিনমজুরকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুলাল বশিকপুর ইউনিয়নের বড় রশিদপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে এবং মুকবুল একই গ্রামের হাবিব উল্ল্যাহর ছেলে। আর মেয়েটি রশিদপুর রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী । ছাত্রীটির বাবা ও মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেনের ভাষ্যমতে, ঘটনার সাতদিন পর লোকমুখে জানতে পারেন তার মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। তাই তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জেহাদীর কাছে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ জানায়। চেয়ারম্যান স্থানীয় পোদ্দারবাজার পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করার পরামর্শ দিলে তিনি ফাঁঁড়িতে যান।

 

প্রথমে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দিলেও একদিন পরে চন্দ্রগঞ্জ থানায় গনধর্ষণের মামলা করেন। মামলায় দুইজনকে আসামী করা হলে পুলিশ দুলাল নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। অপর অভিযুক্ত মুকবুল বর্তমানে মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী মুঠোফোনে অপরাধ বিচিত্রা কে জানায়, আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসুক। অহেতুক কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেদিকে নজর দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন এই জনপ্রতিনিধি। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আমির হোসেন অপরাধ বিচিত্রা কে বলেন ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান,কেউ যেন মিথ্যে হয়রানির শিকার না হয়,সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভিন্ন কথা। মামলার আসামী মুকবুল আর দুলাল দুইজনই শ্রমিকের কাজ করে। তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এলাকার কেউই মেনে নিতে পারছে না। মামলার বিবরণে যেস্থানে ধর্ষনের ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে জনমনে। আর মেডিকেল রিপোর্টেও মেলেনি ধর্ষনের আলামত। তবে ঘটনার সাতদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ইভটিজিংয়ের অভিযোগ গনধর্ষনের মামলায় পরিণত হওয়ার কারণ জানতে মেয়েটির পরিবারের মুখোমুখি হলে সদুত্তর দিতে পারেনি কেউই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

sixteen + 11 =