রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
মার্কেটে কেনা কাটার অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে থান বা গজ কাপড় কিনে অনেকেই বাহারি পোষাক বানাতে দিয়েছেন পাড়ার বিভিন্ন দর্জির দোকান বা টেইলার্সগুলোতে। ঈদ সামনে রেখে দর্জির এসব দোকানে পোষাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেখানকার কারিগররা। পুরুষ কারিগরের পাশাপাশি পোষাক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারি দর্জিরাও ।
সরেজমিন রোববার (০৩-৬-১৮) উপজেলার দাদপুর ও পলাশিফতেপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদের পোষাক তৈরিতে নারি দর্জিদের ব্যস্ততা। পুরুষের তুলনায় বাচ্চাদেরসহ নারিদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাক তৈরি করছেন এসব নারি দর্জিরা। কথা বলা তো দুরের কথা এদিক সেদিক তাকানোর সময় যেন নেই তাদের।
অনেক ব্যস্ততার মাঝে পলাশি ফতেপুর সমিতির খাদিজা ও সুমাইয়া জানান,চরাঞ্চলের নারিরা সেলাই কাজে আগে তেমন পারদর্শি ছিলনা। সাংসারিক কাজের ফাঁকে প্রশিক্ষন নিয়ে এখন তৈরি করছেন ছোট বাচ্চাদেরসহ নারিদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাক। সংসারের কাজ সামাল দিয়ে দর্জির কাজে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এর পরেও বাড়তি আয় করতে পেরে কষ্টকে ভ’লে যাচ্ছেন তারা। গড়ে প্রতিটি পোষাক ত্রৈরির মজুরি পান ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। প্রতিদিন ছোট-বড় মিলে ২০ থেকে ২৫ টি পোষাক তৈরি করতে পারেন।
দাদপুর সমিতির সভানেত্রী রিক্তা বেগম বলেন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের পলাশি ফতেপুর ও দাদপুর এলাকার ৬০ জন নারি দর্জি বাংলাদেশ ব্যাংকে’র দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও সামাজিকদায়বদ্ধ তহবিলের অর্থায়নে সেলাই প্রশিক্ষন নিয়েছে। সেই প্রশিক্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনের হতাশা কাটিয়ে এখন স্বাবলম্বী হচ্ছে। বিশেষ করে ঈদ এলেই কাজের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুন। পুরুষের পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদেরসহ নারিদের বিভিন্ন ডিজাইনের পোষাকের চাহিদা বেড়ে গেছে আগের চেযে অনেক বেশি। এ কারণে দিনে সংসারের কাজ সামাল দিয়ে রাতে কাজ করতে হচ্ছে বেশি সময়।