লম্পট শিক্ষক সুলতান মাহমুদের খুঁটির জোর কোথায়

0
888

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

ফাঁকা পেয়ে দিন দুপুরে শ্রেণী কক্ষে সহকর্মী শিক্ষিকার সাথে যৌন মিলনে অবতীর্ণ হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে ধরা পড়ে গোটা জাতির বিবেককে স্তব্দ করে দেয়া লম্পট শিক্ষক সুলতান মাহমুদের খুঁটির জোর কোথায়- এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং আদৌ তার বিচার হবে কি না এ নিয়ে শংকা আর উৎকন্ঠায় প্রহর গুনছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রুহুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংঘটিত এই ন্যাক্কারজনক, পশু প্রবৃত্তির অমার্জনীয় নজির বিহীন ঘটনার মহা নায়ক উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত জলদস্যু তারু ডাকাতের ভাতিজা, বহু নারী কেলেঙ্কারির হোতা, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্যের দালাল এই সুলতান মাহমুদ সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। যা আমরা পর্যায়ক্রমে অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশ করবো।

লেডি কিলার খ্যাত চল্লিশোর্ধ বয়সী বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক, সুঠামদেহী সুদর্শণ চেহারার এই লম্পট শিক্ষকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়া মহিলার সংখ্যা কত- এ নিয়ে ভূঞাপুরের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই ঠোঁটে রহস্যের হাসি টেনে মুখরোচক তথ্যাদি দিয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে- পরকিয়ায় পটু এই লম্পট শিক্ষক ঘরে শিক্ষিকা স্ত্রী থাকা সত্বেও পরস্ত্রীদের নিয়ে নানা অজুহাতে বিভিন্ন স্থানে রাত্রিযাপন করেন বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। শুধু তাই নয় গোবিন্দাসী স্কুল রোডস্থ পাকা সড়কের পূর্ব পাশে তার বসত বাড়ীতে স্ত্রীর অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে মোবাইল যোগাযোগে তার প্রতি আসক্ত মহিলাদের ডেকে এনে দিবা কিংবা রাত্রিতে নিজ বেড রুমেই যৌন কামনা মেটান বলেও প্রতিবেশীরা খেদোক্তি উচ্চারণ করেন। এক্ষেত্রে কাউকে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে, কাউকে পদোন্নতি কিংবা ভাল স্কুলে বদলী করে দেওয়ার আশ্বাসে বশে আনেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবী করছে- কোন এক সুন্দরী মহিলাকে সাথে নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি প্রতি মাসেই ২/১ বার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় রেল স্ট্রেশন থেকে ট্রেন যোগে ঢাকায় যান এবং পর দিন ফেরেন। দিবা-রাত্রির সিংহভাগ সময় স্ব -স্ব কাজে উক্ত রেল স্ট্রেশনে অবস্থানকারী প্রত্যক্ষদর্শীরা এ কথার সত্যতা স্বীকার করে দাবী করেন- তার সাথে স্বামী স্ত্রীর মত ঢাকায় আসা যাওয়াকারী সন্তান বিহীন সুন্দরী মহিলাটি আদৌ তার স্ত্রী নয়। এই ভূয়া দম্পতির সাথে বিকেল বেলা একই ট্রেনে কোন একদিন ঢাকায় যাওয়া এক সহ যাত্রীর প্রশ্নের জবাবে সুলতান মাহমুদ তার সাথের সুন্দরী মহিলাকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন- চিকিৎসা করাতে ঢাকায় যাচ্ছেন এবং বিমান বন্দর রেল স্ট্রেশনে দু’জন নেমে গেছেন বলে ঐ সহযাত্রী জানান। সুলতান মাহমুদের সাথে বিমান বন্দর রেল স্ট্রেশনে নেমে যাওয়া ঐ সুন্দরী মহিলাটি আদৌ তার স্ত্রী কি না এবং রেল স্ট্রেশন থেকে তারা কোথায় গিয়ে কি পরিচয়ে কোথায় রাত্রি যাপন করেন ও কোথায় ডাক্তার দেখান এ ব্যাপারে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষে স্বচিত্র প্রতিবেদন অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশিত হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী শাসিত স্কুল হিসেবে পরিচিত উক্ত বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষিকার মাঝে এক মাত্র পুরুষ শিক্ষক সুলতান মাহমুদ আদিম বর্বরতাসম এতবড় অঘটন ঘটিয়েও রাতারাতি অজ্ঞাত পন্থায় অদূরে সারপলশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত একটি ভাল স্কুলে বদলি হয়ে বহাল তবিয়তে চাকুরি করলেও বিস্তর অভিযোগ থাকা সত্বেও অদ্যাবধি তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন না করায় হতাশাগ্রস্থ অভিভাবক মহল এ ব্যাপারে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে শিক্ষা সচিব বরাবর একটি অভিযোগ পত্র প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × three =