ঝালকাঠির মত ছোট জেলায় দু’টি হোমিওপ্যাথিক কলেজের আদৌ প্রয়োজন আছে কি

0
868

জাহাঙ্গীর হোসাইন।। ঝালকাঠিতে একটি সরকার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক কলেজ থাকা স্বত্ত্বেও আরো একটি কলেজ হলে উভয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং কিছুদিন যেতে না যেতেই দু’টিই বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী মনে করছেন, একটি স্বার্থন্বেশী মহল সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কলেজটি ধ্বংসের জন্য আরেকটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ওঠে-পড়ে লেগেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন। এলাকাসী তাদের অভিযোগ জানান, ঝালকাঠি অতি একটি ছোট জেলা এবং ঝালকাঠি জেলা শহরে ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক কলেজ সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। একটি স্বার্থন্বেশী মহল প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন রকম কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এলাকাবাসী তাদের আবেদনে আরো জানান, ইতোমধ্যে স্বরূপকাঠির নেছারাবাদ হুজুরের ভক্ত ডা. মোসাদ্দেক হোসেন খান ঝালকাঠির ২/১ জন স্বার্থন্বেশীকে সাথে নিয়ে ঝালকাঠির রাজাপুরে উত্তর পিংড়ি গ্রামে মাওলানা আজিজুর রহমান নেছারাবাদী হোমিওপ্যাথিক কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিদর্শন করিয়েছেন। প্রস্তাবিত এ কলেজটি সরকারি মঞ্জুরীপ্রাপ্ত হলে ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক কলেজটি ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং এতে করে উভয় প্রতিষ্ঠান দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবিত কলেজটি যার নামে নামকরণ করা হয়েছে তিনি তালিকাভূক্ত একজন রাজাকার। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি পুরোপুরি স্বাধীনতার বিরোধীতা করেন এবং দেশ স্বাধীনতার পরে তিনি দালাল আইনে আটক হয়ে বরিশাল জেলখানায় বন্দী ছিলেন। ১৯৭১ সাল এর পলিটিক্যাল মেম্বার হিসাবে রাজাকারের তালিকার পৃষ্ঠা নং- ৩৪, ক্রমিক ৫৩ নম্বরে তার নাম ছিল। হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, কোন স্বাধীনতা বিরোধী তালিকাভূক্তি রাজাকারের নামে বাংলাদেশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, রাস্তাঘাট বা স্থাপনার নাম হতে পারবে না এবং যদি তাদের নামে কোন নাম থেকে থাকে তা বাদ দিতে হবে।
এলাকাবাসী প্রস্তাবিত কলেজটি সরকারি স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় আবেদন জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fourteen + 8 =