কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল নাতি সৈয়দ সাদমান সাকিকে মুক্তিপনের জন্য অপহরণের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবন্ধন

0
673

এজাজ রহমান: নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার মরহুম কমান্ডার মহিউদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল সাহেবের নাতি সৈয়দ সাদমান সাকিকে মুক্তিপনের জন্য অপহরণের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবন্ধন। মুক্তিযুদ্ধ ও সাধীণতা সংগ্রামের স্বপক্ষের সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও স্বারাষ্ট মন্ত্রী মাদক, সন্ত্রাস, শিশু ও নারী নির্যাত এবং অপহরণের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মাঝেও থেমে নেই অপহরণকারীরা এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার মরহুম কমান্ডার মহিউদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল সাহেবের নাতি,

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন সৈয়দ ওমর খালেদ এপনের দের বছরের শিশু পুত্র সৈয়দ সাদমান সাকিকে তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে গত ১লা ডিসেম্বর,২০১৭ তারিখ দুপুর ০১.৩০ মিনিটে অপহরন করা হয়। অনেক খোজাখুঁজি করার পর, খুজে না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে থানা থেকে বলা হয় যে, ২৪ ঘন্টার নিচে সাধারণ ডায়েরী করা যাবে না। তাদের পরিবারের লোকজন আকুতি-মিনতি করতে থাকে যে, নিখোঁজ সাদমান সাকিকে দুই ঘন্টায় হয়তো বা বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেনি। পরে রাত ০৯.০০ ঘটিকায় অনেক অনুরোধ করার পর সদর থানার ওসি সাধারণ ডায়েরী নেওয়ার নির্দেশ দেন। নিখোঁজ সাদমান সাকিকে খুঁজছে বলে আমাদের কিছুদিন তাঁরা বিভ্রান্ত করে। তারপর ১৩ই ডিসেম্বর,২০১৭ তারিখে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় মামলা নেয়। মামলার নং-(৩২), তাং ১৩/১২/২০১৭। কিছুদিন তদন্ত করার পর তারা সন্দেহভাজন ভাবে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করে। তাদের একজন “জিল্লুর রহমান এবং অন্যজন আব্দুর রহমান ত্বপন”। গ্রেফতারের পরবর্তীকালে পুলিশের রহস্যজনক আচরণ শুরু হয় এবং আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করে। অথচ দুইজন আসামীকে গ্রেফতারের সময় আমাদের এই বলে আশ^াস দিয়েছেন যে, আসামীদের কাছ থেকে বেশ কিছু বিশেষ তথ্য পাওয়া গেছে। আসামীদের আদালতে প্রেরণের পর পুলিশ আমাদের বলে যে, বিশেষ তথ্য পেয়েছি। পরবর্তী সময় গ্রেফতারকৃত আসামীরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে। এই ঘটনাকে ঘিরে পরবর্তীতে এলাকাবাসীসহ স্থানীয় জনপ্রতিধিনি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করা হয়। তারপরেও প্রশাসনের কাছ থেকে তেমন কোন ফল পাওয়া যায়নি। এই ভাবে ঘটনা কয়েক মাস চলতে থাকে। তারপর আমরা পুলিশ সুপারের কাছে তদারকি ও তদন্তের কাজ জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার আমাদের আশ^াস দেন যে, আসামী সনাক্ত হয়েছে তাই আমাদের কাজ আমাদের করতে দেন। এইভাবে আরো কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পূনরায় সেই আশ^াস দিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা আবার পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন নিয়ে যাই যে, র‌্যাবের কাছে মামলা হস্তান্তর করবো। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশ বলে আমরা একটা লিংক পেয়েছি তাই আমাকে আরো ৭দিন সময় দেন। কিন্তু ৭ দিন অতিবাহিত না হতেই ওনি মামলাটা পি.ভি.আই এর কাছে হস্তান্তর করে। পি.ভি.আই মামলাটির দায়িত্ব নেওয়ার পর মামলার তদন্তকারী এস.আই আশরাফ আলম, ৪-৫ দিন বাড়িতে আসে এবং তিনি বাড়ির লোকজনদের অপহরণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার ৭ দিন পর পি.ভি.আই এর ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে পি.ভি.আই এর অফিসে ডেকে নেয়। আমি পি.ভি.আই অফিসে যাই এবং আমাকে বলেন যে, এই ঘটনার সাথে শাক্তিশালী ও প্রভাবশালী লোক জড়িত আছে। এস.পি সাহেবের নির্দেশনা পেলে এদেরকে ধরে নিয়ে আসবো । আমি জানতে চাইলে আমাকে বলে পরে জানতে পারবেন। পরবর্তীতে আরো ৪-৫ দিন পর আমি পি.ভি.আই অফিসে গেলে কিন্তু ওনাদের আচরণ আমাদের কিট রহস্যজনক এবং বিভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্ত করে। ৩ মাস পরে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। তাই আমরা ব্যর্থ হয়ে ১৬ই জুলাই, ২০১৮ তারিখে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সামনে আমরা পরিবার, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে অনশন করছি। আমাদের সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান যে, আমাদের দাবী সাদমান সাকি উদ্ধার না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েল সামনে অনবরত অনশন করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় স্বারাষ্ট্র মান্ত্রীর নিকট আমাদের আকুল আবেদন এই যে, আমাদের সন্তান সাদমান সাকিকে আমাদের বুকে ফিরিয়ে দিন।
অবশেষে জাতীর বিবেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই যে, আপনারা আমাদেরকে সহায়তা করুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

8 + 2 =