ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কল্যান পুর গ্রামের একটি প্রবাসি পরিবারের সম্পত্তি অবৈধ দখল নিতে মরিয়া একটি ভূমিদস্যু চক্র। এ চক্রটি অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন প্রবাসি পরিবার। বারগোপি গ্রামে আব্দুল খালিকের পুত্র রউফ, আব্দুল হক ও মইনুল হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালতে নিদেশত্রুমে নিম্ন তপসীল ভুমির শান্তি বজায় রাখা এস আই আজিজুর রহমান বিবিধ মোতাবেক ১৪৪ ধারা নোটিশ জারি করলে ও প্রতিপক্ষরা বিরুদ্ধে । প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ অমান্য করে একটি বিবদমান জমিতে পাঁকা ঘর নির্মান করছে প্রতিপক্ষরা। এ জমিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সুনামগঞ্জ স্থিতিবস্থায় থাকার নির্দেশ দিলেও এ আদেশ বিবাদী পক্ষ না মেনে তোরজোড় করে রাতারাতি সেখানে পাকা ভবন নির্মান করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দুই গ্রামবাসির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে । জানা যায়, উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কল্যান পুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসি আলতাব আলীর স্ত্রী মনবাহার বেগম বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার ওই আদেশ অমান্য করে বিবাদমান জমিতে পাঁকা ঘর নির্মান করছেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসি কবরস্থানে একাংশে সম্প্রতি একটি দোকান কোঠা নির্মাণের উদ্যোগ নেন । দোকান কোঠা নির্মাণ শুরু করা মাত্র বারগোপী গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র রউফ, আব্দুল হক ও মইনুল হক ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত । ঘর নির্মাণ বন্ধ করতে বলে এবং ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় সহপরিবার প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় প্রবাসির স্ত্রী মনবাহার বেগম বাদি হয়ে সুনামগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে ভূমিদস্যু চক্রটি। তার জমিজমা দখলের অপচেষ্ঠা লিপ্ত চালানো হচ্ছে । এ অবস্থায় মনবাহার বেগমের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনযাপন করছেন।
প্রকৃত জমির মালিক প্রবাসি আলতাব ও তার স্ত্রীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের সম্পত্তি দখলে নিতে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন আসামীরা।
আলতাব আলীর পরিবার সূত্র জানায়, এসএ রেকর্ড ও বর্তমান জরিপে বৈধ মালিক হিসেবে স্বীকৃত থাকায় তার কবরস্থানে ভূমি আত্মসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে উক্ত ভূমিদস্যুরা। তারা সংঘবদ্ধভাবে বেশ কিছুদিন ধরে এ জমি জবর দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্রবাসি স্ত্রীর নামে প্রশাসনের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করে। এ চক্রটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মিথ্যা কাহিনী প্রচার করতে থাকে। তাদের মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ১৪৪ ধারা জারি না করলেও আসামীরা আব্দুর রউফ এ নিদের্শ না মেনে গত মঙ্গলবার দোকান কোঠা টালাই দেয়া হচ্ছে । এসআই আব্দুল আজিজ ১৪৪ ধারার বিষয়ে ও ঘর নির্মাণ কাজ না করার জন্য আব্দুর রউফকে সতর্ক করে নোটিশ প্রদান করে। এব্যাপারে প্রবাসির স্ত্রী মনবাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না । থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, ওই জমিতে আদালতে যে স্থিতি অবস্থা রয়েছে তাতে আমার কোন নির্দেশনা নেই। তবে, ঘর নির্মান করে থাকলে বাদী পক্ষরা আদালত অবমাননার মামলা করতে পারবে। এরপর আদালত আমাকে যে ভাবে নির্দেশনা দেবে, আমি সেভাবে আইনগত ব্যাবস্থা নেব