রূপসায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেসরকারি এনজিও

0
582

রূপসা প্রতিনিধি : খুলনায় ব্যাঙের ছাতার মতো মতো অবাদে গড়ে উঠেছে বেসরকারি এনজিও। গ্রামের সহজ সরল মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়ে করে নিচ্ছে তাদের এনজিও সদস্য। এরা গ্রহকদেরকে বলে বেড়ায় আপনাদের অল্প সুদে ঋণ দিব কিন্তু বাস্তবে তা নয়। প্রবাদে আছে কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নাই। সূত্রে জানা যায়, এনজিও গুলোর ৫ হাজারে ৬ হাজার, ১০ হাজারে ১২ হাজার, ২০ হাজারে ২৪ হাজার, ২৫ হাজারে ৩০ হাজার টাকা যার মানে শতকরা ২০% সুদ নেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে নিচ্ছে ৪২% থেকে ৪৪% সুদ। গরিব দোকানদার ও ভ্যান চালকদের কাছ থেকে তারা প্রতিদিন এই লোনের টাকা আদায় করছে। রূপসা থানায় মোট কতটি এনজিও আছে এর তথ্য খুঁজতে প্রতিবেদন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গেলে সমাজসেবা অফিসার বলেন রূপসায় কতগুলো বেসরকারি এনজিও আছে তা আমার জানা নেই। তথ্যটি আপনি মহিলা বিষয়ক অফিসে গেলে পেতে পারেন। দায়িত্বে থাকা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বলেন এই এনজিও গুলোর তথ্য আমাদের কাছে থাকে না এর তথ্য ইএনও অফিসে গেলে পাবেন। ইএনও অফিসের অফিস সহকারি আহম্মদ শেখ জানায় এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা অফিসে যেতে বলেন।

সেখানে দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমার কাছে রূপসার মোট ৩১টি এনজিও এর তালিকা আছে। কিন্তু সূত্র বলছে উপজেলায় প্রায় ৭০টির ও বেশি এনজিও আছে। এ নিয়ে জনগণের মাঝে একটি প্রশ্ন বিরাজ করছে এই এনজিও গুলো ভরসা ও চলন্তিকা যুব সোসাইটি এর মতো গরিবের কষ্টের টাকা নিয়ে চলে যাবে না তো। অন্য একটি সূত্র বলছে একটি এনজিও খুলতে প্রথমে সমাজ সেবা অফিস থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। নিজেদের সংস্থার অফিস থাকতে হয়। একটি এনজিও খুলতে ম্যানেজিং বোর্ড গঠন করতে হয় কিন্তু বাস্তবে তা নেই। নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গল দেখিযে তারা তাদের মতো এই এনজিওগুলো পরিচালনা করছে। জানা যায়, এরা নিজেদের পরিবারের লোকদেরকে নিয়ে বানাচ্ছে পকেট ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এবং সেই পরিবারের লোকজনই মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করছে। অনেক এনজিওর নেই সঠিক কাগজ পত্র তদন্ত করলে এগুলো বেরিয়ে আসবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসার পিছনে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ গজ দুরে ২ থেকে ৩টি এনজিও গড়ে উঠেছে। এছাড়া উপজেলার প্রায় সব জায়গায় এ ধরনের এনজিও গড়ে উঠেছে। যারা কিনা সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয় জনগন উর্ধ্বতর কর্মকর্তাদের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four + ten =