বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বৃটেনের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের রপ্তানিতে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার বৃটেন। বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বৃটেনকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেয়া এভ্রিথিংস বাট আর্মস অর্থাৎ ইবিএ-এর আওতায় বাংলাদেশ বৃটেনের কাছ থেকে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে। বৃটেনে দিন দিন বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৃটেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পর (ব্রেক্সিটের পর) বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য আরো বাড়বে। বাংলাদেশ এবিষয়ে বৃটেনের সাথে ঘনিষ্ট ভাবে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। বৃটেন বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছে, তখন আর জিএসপি সুবিধা থাকবে না, এজন্য বাংলাদেশ বৃটেনের কাছ থেকে জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাশা করছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ(২২ জুলাই) ঢাকায় বনানীস্থ নিজ বাসভবনে বাংলাদেশে সফররত বৃটিশ এমপি রোশনারা আলীর সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
রোশনারা আলী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ বৃটেনের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে বৃটেন খুশি। বৃটেন বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বৃটিশ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বৃটেনে বাংলাদেশের তৈরী অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। উভয় দেশের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজনীয় বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বৃটেন বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, এনার্জি ও বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে টুরিষ্ট বিনিময়ের প্রচুর সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে এ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। তৈরী পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার ও শিল্প মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আর কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এ সেক্টরে আরো উন্নতি করা সম্ভব। তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকার আশা করে এবং বিশ^াস করে বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।