জেমস এ.কে. হামিম: রাজধানীতে ব্যাটারি চালিত অবৈধ অটোরিক্সার রমরমা ব্যবসা চলছে। ভিআইপি সড়কগুলো বাদ দিয়ে বিভিন্ন সড়কে এসব রিকশা চলাচল করছে দিনের পর দিন। ইতিপূর্বে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অল্প করে ক্ষুদে মালিকরা ব্যাটারী চালিত রিক্সা তৈরি করে অলিগলিতে চালাতো। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ‘ভূঁই ফোড় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে এখন এই অবৈধ রিক্সা দেীড়াত্ত বেড়েছে। ঢাকার তুরাগ, খিঁলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিনখান, অবাধে চলাচল করছে রিকশা । শুধু তাই নয় নামধারী সংগঠনগুলো নামে প্লেট-টোকেন তৈরি করে এসব অবৈধ রিক্সাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকটি সংগঠন ইতোমধ্যে প্লেট-টোকেন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন একজন ভুই ফোড় নেতা প্লেট টোকেন বিক্রি করা টাকার বৃহদাংশ চলে যায় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও প্রসাশনের কিছু অসাদু ব্যক্তির পকেটে। সংগঠনের নেতারা তেমন কিছুই পায় না। জানা গেছে, প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন চক্র টোকেনের মাধ্যমে এসব রিকশা মালিকের কাছে থেকে প্রতিমাসে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ শত টাকা নিচ্ছে।
এ টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট এলাকায় চলাচলের অনুমতি সংগ্রহ করে থাকে। কয়েকজন রিকশার মালিক জানান, “প্রতিমাসে নির্ধারিত ফি দিয়ে টোকেন নবায়ন করা হয়। যথাসময়ে টোকেন ফি না দিলে দালালদের ইশারায় ট্রাফিক পুলিশ হয়রানি করে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তুরাগের বিভিন্ন এলাকার রিক্সা মালিকদের সংগঠিত করে এ অবৈধ রিক্সা প্লেটের ব্যবসা পরিচালনা করা হয় এবং এর থেকে আদায়কৃত টাকা ঐসব নেতা আর দালালরা নিয়ে থাকেন। উত্তরা ও দক্ষিণখানের বিভিন্ন লাইনে চলাচল করে এমন একাধিক রিকশার চালকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি উত্তরা ও দক্ষিণখানের বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল কৃত রিকশায় দক্ষিনখান ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধন দেওয়া।ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের শুধু মাত্র রিক্সার নিবন্ধন দেওয়ার বিধান থাকলেও রিকশার নিবন্ধন দেওয়ার লিখিত বা ঘোষিত ভাবে আইনত কোন বিধান আছে কিনা আমার জানা নাই। অভিযোগ আছে, গত ১ বছর ধরে অবৈধ এই চালিত রিক্সা দেদারছে চলছে তুরাগ থানা ভূই ফোড় সংগঠনের নেতাকর্মীরা করে থাকে। একাধীক সুত্র জানায়, প্রতি মাসের ১০ তারিখে এ ব্যবসা থেকে থানার আয় টাকা। বেশ কয়েকজন রিক্সার মালিক বলেন, এইসব সংগঠনগুলো প্রতি মাসে উত্তরা রিকশা মালিক ঐক্য পরিষদ নাম মাএ জয়েন্ট স্টকের লাইসেন্স নিয়ে প্রতারনা করে যাচ্ছে। সভাপতি কাদের মন্ডল ও সাধারন সম্পাদক লাল চাঁন। জন্য প্লেট ছাড়ে ৭০০ টাকা করে। মেয়াদ শেষ হলেই আবার তা নবায়ন করতে হয়। নবায়নের সময়ও তাদেরকে সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়। যদি কোনো মালিক সংগঠনগুলোর প্লেট না লাগায় তাহলে তাদের গাড়িগুলো পুলিশ দিয়ে আটক করানো হয়। এজন্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে সংগঠনগুলো পারিশ্রমিক দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। এসব রিক্সার ওপর জরিপ পরিচালনা করে দাবি করেন প্রায় ৮০.০০০ রিক্সা রয়েছে। শুধু তাই নয় সুনামধন্য রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নামের সাথে মিল রেখে তুরাগে কথিত লীগের নেতা পরিচয়ে ও চাঁদাবাজ , সহ আরো অনেকেই প্রতি মাসে এ অবৈধ টোকেন প্লেট বিক্রি করছে। যেহেতু বিআরটিএর নিবন্ধন ছাড়াই স্বাধীনভাবেই বেআইনি যানটি অবৈধ ভাবে চলাচল করছে তাই স্থানীয় ভাবে প্রচুর তিন চাকার রিক্সা তৈরি করছে একটি চক্র।যার ফলে লাগামহীন ভাবে রাস্তায় রিকশার পরিমাণ ভাবে বেড়েই চলেছে । এ ব্যাপারে তুরাগ থানার ঐসব ভুই ফোড় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মুঠো-ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।