বিশেষ প্রতিনিধি: লাকসামে নাকে-মুখে কসটিপ পেচানো একটি নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ভাটিয়াবিটায় ঝোপের ভেতর থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। ঝোপের ভেতর পড়ে থাকা জীবিত শিশুটির পায়ের নরম কিছু মাংস পিঁপড়া খেয়ে রক্তাক্ত করে দেয়। তখন শিশুটির সেই হ্নদয় বিদারক আহাজারী পৌছে মেহেদি নামক এক যুবকের কানে, সেই উদ্ধার করে নবজাতক কন্যা শিশুটিকে। এ যেন এক মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বীভৎসতার নিষ্ঠুর চিত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, কুমিল্লার নোয়াখালী আঞ্চলিক মহসড়কের ভাটিয়াবিটা আহাম্মদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সংলগ্ন ঝোপের ভিতর কান্নার শব্দ শুনে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মেহেদী হাসান নামক এক যুবক শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ কে খবর দেয় এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ঐ যুবক ও মাষ্টার শাজাহান লাকসাম সরকারী হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। নবজাতক কে উদ্ধারের সময় তার মুখে ও নাকে কসটিপ প্যাঁচানো ছিল। সংবাদ পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ অফিসার ইনর্চাজ মো: আব্দুল্লা-আল মাহফুজের নির্দেশে এস.আই. মো: সাইদুর রহমান ও কামাল হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার উপন্যাস চন্দ্র দাসের সহযোগীতায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান, উদ্ধারকৃত নবজাতকের নাকে-মুখে কসটিপ প্যাঁচানো থাকায় যথা সময়ে কসটিপ না খুলতে পারলে ও উদ্ধার না হলে শিশুটি মৃত্্ুযর সম্ভাবনা ছিল। লাকসাম থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ-আল মাহফুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নবজাতক শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সমাজ সেবা কর্মকর্তার সহযোগীতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।