গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, শ্বশুরসহ আটক ৩

0
515

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শেফালি আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই গৃহবধূ।

ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী পালিয়ে গেলেও পুলিশ নিহতের শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি ও ননদকে আটক করেছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তেঁতুলিয়ার ব্রহ্মতল এলাকার সাইবুল ইসলামের মেয়ে শেফালি আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রামের খাদেমুল ইসলামের ছেলে লিটন ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা অজুহাতে শেফালিকে মারধর করতো লিটনসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে একাধিকবার শালিশও করা হয়। এর মধ্যে ১০ দিন বাবার বাড়ি থাকার পর রোববার দুপুরে সন্তান নিয়ে শেফালি তার স্বামীর বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে দেরিতে আসার অপরাধে বিকেলে লিটন তাকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্বামী ও শাশুড়ি তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার করেছে বলে প্রচার চালায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেফালির বাবা সাইবুল ইসলাম বলেন, বাসা থেকে সুস্থ অবস্থায় মেয়েকে শ্বশুড় বাড়িতে পাঠিয়েছি। স্বামী ও পরিবারের লোকজনের বেধড়ক পিটুনিতে আমার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালিয়েছে। প্রতিবেশি সলেমান আলী বলেন, এর আগেও লিটন শেফালিকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার শালিশ করা হয়েছে। তারপরও লিটন ও তার পরিবারের নির্যাতন বন্ধ হয়নি। ওরা মেয়েটিকে বাঁচতেই দিলো না। সদর থানা পুলিশের এসআই আব্দুল জলিল বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই গৃহবধূর মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তার স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 + one =