টাঙ্গাইলের বাসাইলে এসএসসি’র ২০১৮ সালের নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস

0
631

টাঙ্গাইলের বাসাইলে এসএসসি’র ২০১৮ সালের নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার ও আব্দুর রহিম নামের এক গৃহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে আরজু জমাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তার সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আব্দুর রহিমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান জরিমানার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। ১লা অক্টোবর সোমবার উপজেলায় এসএসসি’র নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার প্রথম দিন বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালীন ওই বিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসে। ঘটনার দিন রাতে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমিতির জরুরি বৈঠকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরজু জমাদার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, প্রতিটি বিদ্যালয় এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৃথকভাবে তৈরী করার বিভাগীয় নির্দেশনা রয়েছে।কিন্তু বাসাইল উপজেলা শিক্ষক সমিতি নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নগুলি সমিতির মাধ্যমেই করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান বলেন,নির্বাচনী পরীক্ষা পূর্ববর্তী সমিতির সভায় স্বচ্ছতার সহিত প্রশ্নপত্র তৈরী এবং পরীক্ষা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষক আরজু জমাদার সমিতির সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় আরজু জমাদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সমিতির সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগী গৃহ শিক্ষক আব্দুর রহিমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে  আরজু জমাদারের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ বাতিল করা হবে। অভিযুুক্ত লৌহজংগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বলেন ,বিষয়টি সমিতির সাথে মিমাংসা হয়ে গেছে। এতে আপনাগো কি? আপনে যা লেখার লেখেনগা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল হাসান বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − eleven =