দলছুট ব্যক্তিদের ঐক্য যত দফাই দিক কাজ হবে না -বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

0
461

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দলছুট ব্যক্তিদের ঐক্য যত দফাই দিক কাজ হবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য তারা ঐক্য করেছেন, অনেক দাবী-দাওয়া করছেন, এতে লাভ হবে না। আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান মোতাবেক। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবেন। আমরা আশা করি, দেশের সকল দলের অংশগ্রহনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে অংশগ্রহণ মূলক ও নিরপেক্ষ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খুনিদের দলের সাথে যারা ঐক্য করে, তারা দেশের উন্নতি করতে পারে না। সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নতি হয়, তা আজ প্রমানীত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে দেশের মানুষ নির্বাচিত করলে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিনদিনব্যাপী খাদ্য মেলার উদ্বোধন করে বিশ^ খাদ্য দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে ফার্মগেইটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে “ কর্ম গড়ে ভবিষ্যত, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ^” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ধাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন। স্বাধীনতার পর দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন হতে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। আজ দেশের মানুষ ১৬ কোটির বেশি, বসতবাড়ি ও শিল্প কলকারখানা নির্মাণে জমির পরিমান কমেছে। তারপরও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ ও সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় এখন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি টনের বেশি। বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানি কারক দেশের তালিকায়। বাংলাদেশ এখন কৃষি পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করছে। এ জন্য সরকার রপ্তানিতে ২০ ভাগ হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। দিন দিন রপ্তানি বেড়েই চলছে। গত তিন মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯৭.৩১ ভাগ। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশে^র মধ্যে ৪র্থ, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু উৎপাদনে ৮ম এবং আম উৎপাদনে ৭ম স্থান অধিকার করে আছে। ২০০৮-৯ অর্থ বছরে দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছির ৩১. ৫ ভাগ, এখন তা নেমে এসেছে ২৪.৩ ভাগে। দেশের মাথাপিছু আয় ১৭৫২ মার্কিন ডলার। গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮৬ ভাগ। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে এখনো ৪১ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং সরকারের বিশেষ সহযোগিতায় দেশের কৃষির উৎপাদন বেড়েই চলছে। খাদ্যের জন্য যাতে আর কখনই বিদেশের কাছে হাত পাততে না হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সঠিক ভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নির্বাচনী ইসতেহারে কৃষিকে অধীক গুরুত্ব দিয়েছিল। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য যাত্রায় এখন বাংলাদেশ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্ব সেমিনারে মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। এসময় বক্তব্য রাখেন এফএও এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন এবং ঢাকা পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামূল হক।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen + 4 =