জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খালেদা-তারেক রহমানকে বাঁচাতে ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্ট করেছেন। চারদলীয় জোট সরকারের সময় তারেক রহমান নিরীহ মানুষ হত্যা করেছেন।
ড. কামালের হাত ধরে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করে দেশকে অশান্ত করতে চায়। জামায়াত-রাজাকারদের কাছে খালেদা জিয়া জিম্মি। এ কারণে তারা এ দেশটাকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বানাতে চায়। তবে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ রুখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। গতকাল রবিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা জাসদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে গেছে ১৪ দলীয় জোট সরকার। প্রকাশ্যে রাস্তায় গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানোর সেই দিনগুলো মানুষ আর ফিরে পেতে চায় না। ঐক্যফ্রন্টের ঘরে বিএনপি-জামায়াত ঢুকে পড়েছে। আজ থেকে ১০ বছর পরে নন্দীগ্রামে বিদ্যুতের আলো যাতে নিভে না যায়, সে জন্য এখনই হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী আগামী সংসদ নির্বাচনে জাসদের দলীয় প্রার্থী বর্তমান এমপি এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে আবারও নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। উপস্থিত সবাইকে বলেন, ‘আপনারা তানসেনের পক্ষে কাজ করবেন।’ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে ১৪ দলের বিকল্প নেই। এ সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। জনসভায় কেন্দ্রীয় জাসদের সহসভাপতি ও জেলা কমিটির সভাপতি বগুড়া-৪ আসনের বর্তমান এমপি এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষরযন্ত্র যারা করছে তাদের রুখতে ১৪ দলীয় জোট সরকারের জন্ম হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে গেছে নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলা। এই দুই উপজেলার মানুষ সুখ-শান্তিতে বাস করছে। গ্রামীণ উন্নয়নে এই উপজেলায় ৪০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। তাই এই উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে আগামী নির্বাচনে আমি পুনরায় জনগণের রায় চাই।’ উপজেলা জাসদের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুলের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক ফেরদৌস আলীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জাসদের যুগ্ম সম্পাদক রোকনুজ্জামান রুকন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সফিকুল কবির স্বপন, জাকারিয়া হক টিটন, এমদাদুল হক, ইকবাল হোসেন রতন, মাহবুর রহমান রুস্তম, জিয়াউল হক শাহীন প্রমুখ।