চট্রগ্রাম সংবাদদাতা
নগরীর পতঙ্গো থানাধিন নাগর আলীর নতুন বাড়ির দক্ষিণ পতেঙ্গার মৃত হোসেন আহম্মেদ প্রকাশ গাভী হোসেনের পুত্র গাভী ইলিয়াছের মাদক ব্যবসা, জোড়জুলুমে অত্যাচারে এলাকাবাসি এখন নাভিশ্বাস।
খুন রাহাজানি, চাঁদাবাজি, তেলের চোরা কারবারি সহ এমন কোন অবৈধ ব্যবসা নাই যা গাভী ইলিয়াছ করেনা। জানা যায় গাভী ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানা আদালতে ডজন খানিকের বেশি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে বলে চট্টগ্রাম আদালত সূত্রে জানা যায়। তবে থানা পুলিশ কর্তৃক একাধিকবার আটক হলেও টাকার জোড়ে ইলিয়াছের কাছে আইন আদালত যেন কিছুই নয়। এছাড়া চট্টগ্রামের র্শীষ সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় অনলাইন পত্র-পত্রকিায় গাভী ইলিয়াছের বিরুদ্ধে দফায় দফায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও র্যাব বাহিনীর যেন টনকেই নড়ছে না। এদিকে প্রশাসনের নজর এড়াতে গাভী ইলিয়াছের ২০ জনের মত বিশ্বস্থ র্সোস রয়েছে যাদের পিছনে তার প্রতি মাসে ৫লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হয় বলে সূত্রে জানা যায়। জানা যায় গাভী ইলিয়াছের অবৈধ মাদক এবং কালোবাজারির মাধ্যমে অর্জিত টাকার পাহাড়ের নীচে চাঁপা পরে আছে সমাজপতিগণ। সাধারণ জনগণের কেহ ইলিয়াছের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ বা নেতিবাচক মন্তব্য করলেই তার ভাগ্যে জুটে অর্বণনীয় দুখ-র্দুদশা। তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে কথা বলতে কেউ সাহস পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী এলাকাবাসি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক এলাকাবাসির পক্ষে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের র্কতা বলেন এভাবে ইলিয়াছের অবৈধ মাদক ব্যবসা, অত্যাচার জুলুমবাজি চলতে থাকলে সমাজের অবকাঠামো অচিরেই ভেঙ্গে পরবে তিনি প্রতিনিধিকে জানায়।
এছাড়া তিনি আরও বলেন এখনই ইলিয়াছের অবৈধ ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ করা না হলে এর প্রভাবে অত্র এলকায় হাজারও মাদক ব্যবসায়ী তৈরি হবে । এ বিষয়ে তিনি এলাকার প্রশাসনের সংশ্লীষ্ট র্কতা ব্যক্তিদের মনযোগ দৃষ্টি আর্কষণ করনে।
যেভাবে শূণ্য থেকে র্পূণ ইলিয়াছ: সামান্য একজন সিএনজি চালিত অটো রক্সিার চালক হিসেবে গাভী ইলিয়াছের র্কমজীবন শুরু। জানা যায় ২০১১ সন
থেকে সীর্পোট এলাকা থেকে বিদেশি মদ পাচারে মধ্য দয়িইে অবৈধ মাদক ব্যবসার সূত্রপাত ঘটে চট্টগ্রামের র্বতমান র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াছের।
এছাড়া ২০১৩ সনে র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত নয়াবাজারের জাহেদুল ইসলাম আলোর একান্ত ব্যবসায়িক র্পাটনার হিসেবে ইয়াবার র্শীষ ব্যবসায়ী হিসেবে কোটি কোটি টাকা অবৈধ ভাবে আয় করে ইলিয়াছ। র্বতমানে বাঁশখালী থানার গহিরা এলাকা থেকে ১৫নং ঘাট পার হয়ে ইয়াবা নিয়ে আসছে বলে সূত্র জানায়। এদিকে ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ইলিয়াছের অবৈধ আয়ের র্বতমান অর্থের পরিমাণ হবে ২০ কোটি টাকা প্রায়। এছাড়া অবৈধ র্অথে নির্মিত বহুতল ভবনসহ বিজয় নগরে ২টি নতুন বাড়ি এবং পৈত্রিক ভিটায় ৪র্থ তলা বিশিষ্ট একটি নতুন বাড়ির সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া ২টি প্রাইভেট কার, ২টি কভারভ্যান এবং ৪০শতক জমির মালিক ও মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াছ, যার আনুমানিক মূল্য হবে ১০ কোটি টাকা।
এছাড়া তেলবাহী একটি জাহাজের মালিক ও এই মাদক সম্রাট ইলিয়াছ। এছাড়া নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে এই র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী গাভী ইলিয়াছ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনর্চাজ এ প্রতিনিধিকে বলেন যে, গাভী ইলিয়াছকে আমরা একাধিকবার আটক করে আদালতে পাঠাই তবে টাকার জোড়ে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় এসে সেই মাদক বিক্রির পেশায় জড়িয়ে পরে। তবে মাদক এবং জঙ্গির বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স অবস্থানে রয়েছি,কোন অপশক্তি এ বিষয়ে আমাদের রুখতে পারবে না বলে জানায় পতেঙ্গা ওসি। এছাড়া গাভী ইলিয়াছের অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা এবং অচিরেই গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সংগঠন চট্টগ্রাম মহানগর। এদিকে গাভী ইলিয়াছের অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মিছিল বের করবে বলে জানায় স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রি বৃন্দ।