লাশে ব্যবহৃত চা-পাতা বিক্রি হচ্ছে চায়ের দোকানে

0
2183

মো: আহসানউল্লাহ হাসানঃ রাজধানী ঢাকা শহরের ফুটপাতের চায়ের দোকান গুলোতে দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে মরা মানুষের লাশে ব্যবহৃত চা-পাতা। আর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এই কাজটি করে যাচ্ছে খিলগাঁও গভঃ স্টাফ কোয়াটারের এলোটি আল আমিন। কোয়াটারের ভেতরে দোকারঘর ভাড়া নিয়ে নির্জন পরিবেশে খাওয়ার অনুপযোগি এই চা-পাতা প্যাকেটজাত করে খোলা বাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকানে বিক্রি করে যাচ্ছে সে ও তার লোকজন। এতে স্টাফ কোয়াটারের এলোটিদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর খিলগাঁও স্টাফ কোয়াটারের বাসিন্দা আল আমিন। কোয়াটারের ভেতরে অবস্থিত জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার আওতাধীন একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে চা-পাতার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। নির্জন পরিবেশে ঘরের ভেতর চা-পাতা প্যাকেটজাত করলেও তাতে কোন কোম্পানী বা কোন ব্রান্ডের নাম ব্যবহার করা হয়নিা। বিষয়টি নিয়ে স্টাফ কোয়াটারের শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু কথায় বলে-বোয়ালেও ডিম বোয়ালেই ভাঙ্গে। আল আমিনের বেলায়ও ঘটেছে তাই। পার্টনারশিপের ব্যবসার কারনে আল আমিনের সাথে তার পার্টনারের সাথে মনোমলিন্য হওয়ায় ভেজাল চা-পাতা বাজারে বিক্রি করার বিষয়টি এক কান দুই কান করে এলোটি বা কোয়াটারের বাসিন্দাদের মাঝে জানাজানি হয়ে যায়। ভবিষ্যতে বিপদের আশংকা বুঝতে পেরে কোয়াটারের মসজিদ কমিটি আল আমিনকে দোকানঘর ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এতে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেকে গোপালগঞ্জের বংশধর পরিচয় মসজিদ কমিটিকে হুমকি ধমকি প্রদান সহ দোকানঘরটি অবৈধ ভাবে দখলে রাখার জন্য আদালতে দ্বারস্ত হয়ে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করায়। গোপালগঞ্জের প্রভাব দেখিয়ে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে আদা-জল খেয়ে মাঠে মাঠে নামে। আল আমিন সাংবাদিক ডেকে এনে উল্টা-পাল্টা তথ্য দিয়ে মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় এবং আরো নিউজ করাবে বলে মসজিদ কমিটির সদস্যদের হুমকি প্রদান করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আল আমিনের এক সহযোগি জানায়, আল আমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের মর্গে মরা মানুষের শরীরে ব্যবহারের জন্য মজুত রাখা খাওয়ার অনুপযোগী চা-পাতা চোরাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অল্প দামে কিনে আনে। আর কোয়াটারের ভিতরে নির্জন পরিবেশে সাদাসিদে প্যাকেটজাত করে ফুটপাতের চায়ের দোকান গুলোতে কেজি দরে বিক্রি করে। কোয়াটারের মসজিদ কমিটির এক সদস্য বলেন, আল আমিন দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ যাবৎ চা-পাতার ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু মরা মানুষের লাশে ব্যবহার করা চা-পাতা যদি সে মানুষকে খাওয়ার জন্য খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে তাহলে এটা জঘন্য অপরাধ। তার এই অপরাধের জন্য চরম শাস্তি হওয়া দরকার। এব্যাপারে আল আমিন বলেন, আমি গোপালগঞ্জের পোলা। আপনে পত্রিকায় লিখে কিছু করতে পারবেন না। আরো বিপদে পড়বেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =