মঞ্জুরুল আলম রাজীব রা আর কত পরীক্ষা দিলে উত্তীর্ণ হবে?

0
1334

কামরুল হাসান রুবেলঃমঞ্জুরুল আলম রাজীব একজন মুজিব আদর্শের পরীক্ষিত সংগ্রামী নেতার নাম। জননেএী শেখ হাসিনার ডাকে, প্রতিটি লড়াই সংগ্রামে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিয়েছেন। তার পিতা মৃত ওয়াসিল উদদীন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের একজন কলমযোদ্ধা, একজন সাহসী সাংবাদিক। তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  পরবর্তীকালে জাকসু’র ছাএলীগের সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করেন। তার ছোট ভাই! মোঃ ফখরুল আলম  সমর ঢাকা জেলা ছাএলীগের সফল সভাপতিদের মধ্যে একজন অন্যতম সফল সভাপতি। একজন মেধাবী ছাএনেতার নাম ” ফখরুল আলম সমর”।

এই হল সাভার থানা আওয়ামী পরিবার রাজীব তাদের ত্যাগ আর নিরলস পরিশ্রমের ফল হিসাব করলে বা মূল্যায়ন করতে গেলে তাদের আজকে ” সংসদ সদস্য” থাকার কথা ছিলো।যাক এতদিন পর  হলেও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মঞ্জুরুল আলম রাজীব  নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি দলের স্বার্থে  সব কিছু করতে পারি এমনকি জীবন দিতে প্রস্তুত কিন্তু আদর্শ থেকে বিচ্যুত হতে পারবো না, কোনো দিন হইও নাই। গত ৩০ বছরের অধিককাল যদি আমি আপনাদের সামনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই তাহলে আপনার হৃদয় সিংহাসনে  বিবেক নামের যে কষ্টিপাথর সেই  কষ্টিপাথরের পরীক্ষায় আমি যদি খাঁটিঁ সোনা হয়ে থাকি তাহলে আসন্ন উপজেলা নিবার্চনে নৌকা মার্কা প্রতীকের নিবার্চন আপনারা করে দিবেন। তিনি এসময় আরো বলেন, আমরা যখন ছাত্রলীগ করতাম তখন কোনোদিন ভাবি নাই বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগ ক্ষমতায় আসবে।এবং অনেকে আমাদের টিটকারী করে বলছে এ দল কখনো ক্ষমতায় আসবো না,বলতো পাগল হইছোস,এই দল তোরা করতে গেলি কেন ।  আবার কেউ কেউ কইতো গেঁদা  তুই নাকি হিন্দুর দলে যোগ দিছোস। আমার আত্মীয়-স্বজনরা কইছে তুই বিদেশ যাইতে পারস না, আর কত সহ্য করবি পুলিশি নির্যাতন, পুলিশ তো তোরে মাইরা ফালাইবো। তাই ঘটলো আমার সাথে বর্বরতার যুগে প্রবেশ করলাম বিএনপি আমলে আমারে পুলিশের পিকাপ ভ্যানের পিছনে বাইন্দা পুরা সাভার  ঘোড়াইছে রক্তে সারা শরীর ভিজে গেছে আমার, তারপর ও আমি আওয়ামী-লীগ ছাড়ি নাই। সে সময় বিএনপির নাজমুল হুদা বিএনপিতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে,কিন্তু এত নির্যাতন সহ্য করেও আমি আওয়ামী-লীগ   ছাড়ি নাই। ওই প্রতিকূল পরিস্থতিতে আমি নিজেও বিশ্বাস করতাম না কোনোদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ  ক্ষমতায় আসবে।কিন্তু হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতো একটি মানুষের জন্য যে মানুষ এই বাঙ্গালীর মুক্তির জন্য নিজের জীবন যৌবন ধ্বংস করেছেন। যার চিন্তা ধ্যান ধারণা ছিলো বাঙ্গালী জাতির মুক্তি। সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর সেই দেশে তার বিচার হবে না এটা মেনে নেয়া যায় না। সেই কারণে আমরা যখন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ছিলাম সেদিন আমরা শ্লোগান দিতাম আর কোনো দাবী নয় মুজিব হত্যার বিচার চাই।বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তার উপর অমানবিক নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। এসময় অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন, সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, বিরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম, ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্ল্যা, সাভার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেলিম মিয়া ও উপজেলা নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশি শাহাদাত হোসেন, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান অভিসহ আরো অনেকে। গণসংযোগ থেকে এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মঞ্জুরুল আলম রাজীবকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 2 =