রৌমারীর চরাঞ্চলে ব্যাপক ভ’ট্রাচাষ

0
553

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী’র চরাঞ্চলে ভুট্রাচাষে ব্যাপকভাবে সারা জাগিয়েছে। ইতিপূর্বে এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিফসল হিসেবে গম, চিনা, মুশুর,মাশডাল, খেসারী, মুগডাল,বাদাম, সরিষাসহ নানা ফসলের চাষাবাদ হতো। উল্লেখিত ফসল চাষে কৃষকের মাঝে অনেকটা অনিহা দেখা দিয়েছে।একসময় কৃাষ ফসল উৎপাদনে উন্নত প্রশিক্ষন না থাকায় কৃষির তেমন বিপ্লব ঘটেনি। সে সময় বিঘা প্রতি ফলন কম হওয়ায় উৎপাদন অনেকটা বন্ধ করে দেয়।এদিকে বিকল্প হিসেবে বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড জাতের ভ’ট্রা চাষে মনোনিবেশ করেছে কৃষকরা।

ভুট্রা যদিও ৫ হাজার বছর আগের পুরোনো ফসল।যার উৎপত্তিস্থল মেক্সিকো। কালের আবর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যাহা কৃষি বিদদের উন্নত প্রযুক্তি ও উৎভাবনের মাধ্যমে যাহা হাইব্রিড ভ’ট্রা বীজ নামে পরচিত। বাংলাদেশের মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভুট্রাকে অপার সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে বেচে নেয়। যেহেতু ভুট্রা চাষে অল্প পরিশ্রম, স্বল্প খরচে বেশী ফলন পাওয়া যায়। এঅঞ্চলে প্রতি শতকে ২ মন ভ’ট্র উৎপাদিত হয়। যাহা উৎপাদনে খরচ বাদে দ্বিগুন লাভ হয়। শুধু তাই নয় ভুট্রার কান্ড জ্বালানি, গো-খাদ্য হিসেবে পাতা,ভুট্রার ছোবরা ব্যাবহার করা হয়। এছাড়া ভুট্রা আটা, মৎস খাদ্য, মুরগীর খাবার, বিস্কুট নানা তালিকায় রয়েছে। বর্তমানে ভুট্রা কৃষি বিপ্লব ঘটাতে ও কৃষকের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে তালিকায় রয়েছে। রৌমারী নদী-ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত অঞ্চল হওয়ায় ভ’ট্রা চাষে কদর বেড়েছে। সাধারনত ইড়ি-বোরো চাষে অনুপযোগী জমিতে ভুট্রার চাষ করা হচ্ছে। ভুট্রা চাষী হযরত, ছালাম, ছোরমান, বাদশা, বাহাদুর নবীন জানান, নদী ভাঙ্গনে বানের পানির সাথে বালি এসে ইড়ি-বোরো চাষ অনুপযোগী হওয়ায় ওইসব জমিতে ভ’ট্রা চাষ করা হচ্ছে, এতে ইড়ি-বোরোর চেয়ে বেশী লাভবান হওয়ার আশা করছেন। রৌমারী কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, এবছর রৌমারীতে সারে ৩ হার হেক্টর জমিতে ভুট্রা চাষ করা হয়েছে। লাভ ভালো হওয়ায় দিনদিন ভুট্রা চাষ বেড়েই চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + thirteen =