ওষুধের দাম ৬০ টাকা,ক্রেতার কাছ বিক্রি করা হলো ১৯ শ টাকায়

0
1120

ওষুধের ন্যায্য দাম ৬০ টাকা। অথচ ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হলো ১ হাজার ৯ শ টাকা। এই অভিযোগে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা একটি ওষুধের দোকানের দুই কর্মচারীকে আটক করে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করেছে।

 

আটকরা হলো শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার নয়ন হোসেন এবং ঘোপ এলাকার রিপন হোসেন। কোতয়ালি থানা এসআই আমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সোহান বুধবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সামনে মনির ফার্মেসিতে যান অ্যাপোনসেট নামক একটি বমির ওষুধ কিনতে। তার মা জবেদা বেগম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই ওষুধের মূল্য সোহানের কাছে এক হাজার ৯ শ টাকা চাওয়া হয়। মায়ের অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে তিনি ওই বমির ওষুধ নিয়ে যান। পরে জানতে পারেন ওই ওষুধের দাম মাত্র ৬০ টাকা। বিষয়টি হাসপাতালে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা জানতে পারেন। তারা ওই দোকানে যান এবং আশপাশে কথা বলে জানতে পারেন ওষুধের মূল্য মাত্র ৬০ টাকা। কিন্তু সোহানের কাছ থেকে ১ হাজার ৯শ’ টাকা নেয়া হয়েছে। পরে বিশেষ শাখার সদস্যরা ওই দোকানের দুই কর্মচারি নয়ন ও রিপনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। মনির ফার্মেসির মালিক নূরুল ইসলাম দোকানে না থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। আমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, আটক দুজনকে থানায় নেয়া হলেও নূরুল ইসলামকে আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে রাতে ওসি সাহেব সিদ্ধান্ত নেবেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eleven − five =