সম্পত্তি আরও বাড়ানোর নেশাতেই মেতে থাকেন

0
480

কথায় বলে, টাকা থাকলে সবই মেলে। তাই বলে কি কোটি কোটি টাকার মালিক শীর্ষস্থানীয় সব ধনকুবেররা নিশ্চিন্তে দিন কাটান? মোটেই তা নয়। তারা বরং সম্পত্তি আরও বাড়ানোর নেশাতেই মেতে থাকেন।

 

এই নেশাই তাদের নামের পাশে জমিয়ে তোলে একের পর এক অভিযোগের পাহাড়। অনেকের অপকর্ম তো এতটাই বিশাল হয়ে যায় যে, আদালতের কাঠগড়া থেকে শুরু করে জেল-জরিমানাও গুণতে হয় তাদের। ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের ও রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির কথাই ধরুন। তার জীবনে আর যা-ই থাকুক না কেন, অভাবের কোন অস্তিত্ব নিশ্চয়ই নেই। গোটা এশিয়া অঞ্চলেরই অন্যতম ধনী পরিবারের সদস্য তিনি। অথচ এই অনিল আম্বানিই কিনা ৪৫৩ কোটি ডলার ফাঁকি দেওয়ার মামলায় কারাদণ্ডের মুখে রয়েছেন! এছাড়া আদালত অবমাননার দায়ে ১ কোটি রুপি জরিমানাও গুণতে হচ্ছে তাকে। ভারতের আরেক ধনকুবের বিজয় মালিয়াও ঋণ খেলাপের অভিযোগ নিয়ে অনেকটা ফেরারি জীবন কাটাচ্ছেন। ১৩টি ব্যাংকে তার খেলাপি ঋণের পরিমান ৯ হাজার কোটি রুপি। তিন বছর ধরে লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে আছেন তিনি। দেশে ফিরলেই জেলে পুরে দেওয়া হবে তাকে। একসময়ের শীর্ষস্থানীয় এই ধনকুবেরকে ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে দ্রুতগতিতে। বিলাসী জীবন যাপনে অভ্যস্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এই মালিককে খুব শিগগিরই হয়তো দেশে এসে জেলখানার চার দেয়ালে বন্দি হতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে কারাদণ্ড পাওয়া আরেক ধনকুবের কুখ্যাত মাদক সম্রাট হোয়াকিন গুজমান। মাদক পাচার, অস্ত্র ও অর্থ পাচার, খুন, অপহরণ, নির্যাতনসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তিনি করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত তাকে ১০ বছরের কারদণ্ড দিয়েছে। এল চাপো হিসেবে পরিচিত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ এই চোরাকারবারি ফোর্বসের শীর্ষ ধনীদের তালিকাতেও জায়গা পেয়েছিলেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে জেল পালানো কয়েদি হিসেবেই বিশ্বখ্যাতি তার। বলা হয়, গুজমানের মালিকানায় যত সম্পত্তি আছে, তা দিয়ে লাতিন আমেরিকার যে কোনো দেশকে বছর খানেক চালিয়ে নেওয়া কোনো ব্যাপারই না। কিন্তু শত শত কোটি ডলারের এই মালিক এখন চার দেয়ালে বন্দি হয়েই দিন কাটাচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 + 18 =