১০ দিনেই পেটের মেদ গায়েব

0
472

শারীরিক স্থূলতা বাড়ায় বর্তমানে প্রায় সকলেই নানা ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি অসেচনতা। কারণ বর্তমানে প্রায় সকলেই জাঙ্কফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।

 

এছাড়াও দৈনন্দিন কাজের চাপ, অফিসে সারাদিন বসে বসে কাজ এবং বাইরের মশলাদার খাওয়া-দাওয়ায় বাড়ছে শরীরের স্থূলতা। চিকিত্সকদের মতে, স্তুলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। ব্যস্ততার চাপে শরীরচর্চারও সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোরও তাই উপায় নেই। তাহলে এ থেকে বাঁচার উপায় কী? জিমে না গিয়ে, ঘাম না ঝরিয়েও মেদ কমিয়ে আনা যাবে অনায়াসে। সাধারণ উপাদান দিয়েই এমন এক পানীয় তৈরি করা যায়, যা খেলে মাত্র ১০ দিনেই কমে যাবে পেটের মেদ। পানীয়টি তৈরি করতে লাগে মাত্র দু’টি উপাদান। তবে জেনে নিন পানীয়টি কীভাবে তৈরি করবেন-

আদা যে শুধু রান্নারই স্বাদ বাড়ায় তা নয়, আদার একাধিক ঔষধি গুণ শরীরের জন্যেও খুব উপকারি। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। শরীরের নানা সমস্যার সমাধানে আদা একটি অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধি উপাদান। ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ৮০ ক্যালরি এনার্জি, ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, শূণ্র দশমিক ৭৫ গ্রাম ফ্যাট, ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম আর ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। হজমের সমস্যার সমাধানে বা দ্রুত মেদ ঝরাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা ক্যালরি চটজলদি বার্ন করতে সক্ষম। তাছাড়া, আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায়, মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসুন এ বার জেনে নেয়া যাক কীভাবে বানাবেন এই পানীয়।

প্রণালী: এক চামচ জিরা আর এক টুকরো আদা ৫০০ মিলিলিটার পানি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। যতক্ষণ না তা শুকিয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ফোটান। চাইলে স্বাদের জন্য এর মধ্যে দারচিনি আর লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। টানা ১০ দিন সকালে এটি খান। উপকার পাবেন হাতেনাতে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − sixteen =