বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ

0
942

মোবাইলে প্রেম, অত:পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সজিব দেব রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

গত ৬ মার্চ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেটে নির্যাতিতা নিজে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালী সিআর মামলা নং- ৩৭৭/২০১৯ইং। নির্যাতিতা নারী সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা। জানা যায়- ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয় এসআই সজীব দেব রায়ের। এর পর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সজীব ওই মেয়ের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করার চাপ দেয়। কিন্তু তিনি বিয়ের আগে শারিরীক সম্পর্ক করতে রাজি না হলে, তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখান সজিব। এরপর টানা দু’বছর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তাদের মধ্যে জায়গায় শারিরীক সম্পর্ক হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় মায়া হোটেলে তারা একসাথে থাকেন। এরপর থেকে সজিব ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন তাদের যোগাযোগ হয়নি। এক পর্যায়ে এ বছরের ৯ ফেব্র“য়ারি কথা হয় সজিবের সাথে। এসময় সজিব খারাপ ব্যবহার করে ভিকটিমের সাথে ফোন কেটে দেন। সজিবের এমন প্রতারণায় ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে সজিবের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তখন জানতে পারেন- প্রতারক সজিব আরেকটি বিয়ে করেছেন। আর কোন উপায়ান্তর না পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে বিচার প্রার্থী হন। কিন্তু তবুও এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভিকটিম গত ৬ মার্চ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সিলেটে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার এসআই সজিব দেব রায় জানান, ভিকটিমের সাথে তার ফেইসবুকে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে তিনি শারিরীক সম্পর্কে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কারও সাথে পরিচয় হলেই কি শারিরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 + 7 =