যে কোনো সময়েই এর কমতি শুরু হয়ে যেতে পারে

0
462

স্বর্ণ বোধ হয় সবচেয়ে চর্চিত ধাতু। হলুদ এই ধাতুর উৎপাদন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। তার মানে কি যে কোনো সময়েই এর কমতি শুরু হয়ে যেতে পারে?

 

 

সর্বোচ্চ উৎপাদন

বিশ্ব এখন বছরে প্রায় ৩ হাজার টন স্বর্ণ উৎপাদন করছে। যেহেতু নতুন বড় খনির সন্ধান আর মিলছে না, তাই বলা হচ্ছে, এটাই সর্বোচ্চ উৎপাদন। স্বর্ণের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এমন ধুয়া আগেও উঠেছিল। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার হয়তো সত্যিই ‘রাখাল বালকের বাঘ এসেছে’।

মিলছে না বিশ্বমানের খনি

এবারের আশঙ্কার কারণ আছে। সাধারণত ৫০ লাখ আউন্স স্বর্ণ মজুদ থাকলে সেসব খনিকে বিশ্বমানের ও লাভজনক খনি বলা হয়। কিন্তু এখন যেসব খনি মিলছে তাতে আড়াই লাখ আউন্স স্বর্ণের বেশি মজুদ দেখা যাচ্ছে না।

খনি বাদ দিয়ে শেয়ারবাজারে

ক্যানাডাভিত্তিক খনি উৎপাদন বিশ্লেষক কোম্পানি মাইসন প্লেসমেন্ট ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে যে, উৎপাদন কোম্পানিগুলো ভাবছে যে খনিতে বিনিয়োগের চাইতে স্টক মার্কেট থেকে স্বর্ণ কেনা লাভজনক। তাই অনেকেই তাই করছে।

নতুন ফ্রন্টিয়ার

এখন অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের স্বর্ণ উৎপাদনে ৪০ ভাগ খরচের যোগান দেয়। বিশ্লেষকরা বলেন, এরই মধ্যে সহজে পাওয়া যায় এমন ফল খাওয়া শেষ। এখন খনি কোম্পানিগুলোকে ইকুয়েডর বা দক্ষিণ অ্যামেরিকা ও আফ্রিকার দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

ভবিষ্যৎ

এখন বিশ্বের বাজারে ১ লাখ ৯০ হাজার টন স্বর্ণ আছে। আর বছরে উৎপাদিত হয় ৩ হাজার টন। তাই উৎপাদন কমে গেলে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতে স্বর্ণ আসলে রিসাইক্লিং থেকে আসবে, খনি থেকে নয়।

 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

6 + 8 =