ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে হামলার ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ভিপি নুর ও তার সমর্থকরা।
সেখানে তিনি রাতের মধ্যেই পুলিশ ডেকে প্রত্যেক হলের বহিরাগত ও অছাত্রদের বের করা এবং এসএম হলের হামলার বিচার দাবি করেন। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ সেখানে বসে থাকবেন বলে জানান তিনি। তার সঙ্গে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ আরও অনেকে অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ডাকসুর ভিপি পদে প্রার্থীতা করা অরণি সেমন্তি খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসএম হলের ফরিদের ওপর হামলার বিচার চাইতে গিয়ে ডাকসু ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদকসহ অন্যারা যখন ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলেন। তখন বাইরে আমরা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি। পরে আমাদের ওপর হামলাও করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘স্যার যখন আমাদের আগলে রেখেছিলেন, তখন আমার গায়ে লাথি মারা হয়েছে, ঘুষি দেওয়া হয়েছে। অনেক আজেবাজে মন্তব্যও করা হয়। এটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র। এখানে কোনো পড়াশোনা হয় না। মানুষের ওপর নিত্য হামলা চালানো হয়।’ এদিকে ছাত্রলীগের ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনিও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। এর আগে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ দায়ের শেষে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন নুর ও অন্যান্যরা। হলের ছাত্র ফরিদ হাসানকে মেরে রক্তাক্ত করার ঘটনা ও নিজেদের অবরুদ্ধ করার ঘটনায় প্রভোস্টের কাছে অভিযোগ দায়ের শেষে বের না হতেই তাদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের ওই হামলা থেকে বাদ যায়নি হল প্রোভোস্টও। তার ওপরও বৃষ্টির মত ডিম নিক্ষেপ করা হয়। এদিকে ছাত্রলীগের ওই ঘটনাও শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমির গায়েও হাত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।