ওসি নাসিরের মাসিক আয় ছিল কোটি টাকার উপরে

1
1281

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম খুলশী থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন দীর্ঘ সময় ধরে দাপটের সহিত খুলশী থানায় বহাল ছিলেন। এই দুর্নীতিবাজ অফিসার কিভাবে এক থানায় দীর্ঘ দিন বহাল তবিয়তে ছিলেন! তার দুর্নীতির কথা রযেছে সকলের অজানা, মদ, জুয়া, ইয়াবা, হেরোইন, গাজাঁ শতাধিক স্পটে চলে দেহ ব্যবসা। প্রতিটা স্পট থেকে নিয়মিত মোটা অংকের মাসিক মাসোয়ারা পেতেন কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির। সূত্রে আরো জানা যায় অবৈধ সিএনজি এবং ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা থেকে মাসে কোটি টাকার উপরে আয় করিতেন। কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির আজ টাকার পাহাড় গড়েও ক্ষান্ত হয়নি, আরো টাকা চাই, এ যেন টাকার পেটুক। জানা যায় থানায় নিরীহ সাধারণ মানুষদের ধরে নিয়ে এসে মাদকের মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন। সূত্রে আরো জানা যায়, তার এই দুর্নীতিতে সহযোগীতায় ছিলেন দুর্নীতিবাজ অনেক অফিসার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এস আই অমিত ভট্টাচার্জ, বডিগার্ড সবুজ আরো অনেক অফিসার। অবৈধ কালো টাকার পাহাড় গড়েছেন ওসি নাসির, নামে বেনামে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন অল্প সময়ে। এ বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আমলে নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখলে বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের অজানা দুর্নীতির ভংঙ্কর কিছু তথ্য তুলে ধরছি। পতিতালয়ের গোপন আস্তানা উত্তর খুলশী ৫ নং রোডের মাথায় রেখা হাউজের প্রথম তলা থেকে চারতলা পর্যন্ত পুরো বিল্ডিংএ সার্বক্ষনিক চলে দেহ ব্যবসা ও মাদকসেবীদের আড্ডা, পরিচালনাকারী দেহ ও মাদক ব্যবসার দালাল রেখা হাউজের মালিক ডন রেখা ও তার বোন মিম। সূত্রে জানা যায় শতাধিক নারী পতিতা দেহব্যবসায় নিয়োজিত আছে পুরো বিল্ডিং এ। ডন রেখার দুই মেয়ে লন্ডনে পড়াশুনা করছে বলে জানা যায়। আরও জানা যায় এই ডন রেখার আরো পাঁচটি স্পট আছে মোট ছয়টি দেহ ব্যবসার স্পট থেকে কালো টাকার পাহাড় গড়া ওসি নাসির মাসে পেতেন বাইশ লক্ষ টাকা। এসব দেহ ব্যবসার ডন রেখা ও মিমের যে কতো টাকা আছে তার কোন হিসেব নেই। তবে অনুসন্ধান করলে ভংঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসবে। জানা যায় ঘন্টা খানেক সময় কাটালে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা এমনকি বিশ হাজার টাকাও গুণতে হয় পতিতাদের গ্রেট বুঝে। এই সকল অন্ধকার জগতে আরো আসে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে, মেয়ে, যুব সমাজদের ধ্বংসের রাজ্য তৈরী করে দিল কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির। আরো আছে অন্ধকার জগতের গোপন আস্তানার সন্ধান। দুই নং রোডের শেষ মাথায় ইডেন পার্কে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা ও মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান। মো: জমির উদ্দীন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নামে পরিচিত, ওয়াসিম ওমর গনি এমই এস কলেজের ভিপি (সাবেক) আওয়ামী লীগ নেতা নামে পরিচিত, পরিচালনাকারী মূলত এই দুজন। হাবিব লেইন, মমতা ভিলা, উত্তর খুলশী ইন্ডিয়ান ভিসা অফিসের পাশের্^ মমতা ভিলায় চলে রমরমা দেহ ব্যবসা, পরিচালনাকারী হকার আলম ওরফে নেতা আলম। লেক ভিউ উত্তর খুলশী ১ নং রোডের মুখে এবি ব্যাংকের উপরে, হিল ভিউ রির্সোস ফয়েজ লেক, রিয়েল পার্ক আবাসিক ফয়েজ লেক, হেভিটেস পার্ক ফয়েজ লেক, ওয়াসিম ওমরগনি এমই এস কলেজের সাবেক ভিপি কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। এই সকল অন্ধকার জগতের দেহ ব্যবসার আস্তানা থেকে কালো টাকার পাহাড় গড়া ওসি নাসির মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা পেতেন। আরো সূত্রে জানা যায় এসব অন্ধকার জগতের আস্তানার সন্ধান রিহাব সেন্টার দিপ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের তৃতীয় তলা ওমরগনি এমই এস কলেজের আগে ফয়েজ লেক গেস্ট হাউজ, রোজভেলি লেকভিউ রিসোর্স এ সবগুলোর লোকেশন ফয়েজ লেক অন্ধকার জগতের দেহ ব্যবসার আস্তানার দায়ীত্বে আছে মো: জমির উদ্দীন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নামে পরিচিত। এই সকল স্পট থেকে অবৈধ কালো টাকার পেটুক লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা পেতেন। এই সব অন্ধকার জগতের সন্ধান লেক সিটি আবাসিক ফয়েজ লেক, মামুন ভাই নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নামে পরিচিত। স্বর্নালী আবাসিক ফয়েজ লেক, কোব্বাত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নামে পরিচিত এই নেতারাই মূলত অন্ধকার জগতের দেহ ব্যবসা পরিচালিত করে। থানায় মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে নির্বিঘেœ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিপদমূখী হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে সমাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং অকালে ঝড়ে যাচ্ছে যুব সমাজ। আরও জানা যায় অন্ধকার জগতের আন্তানার সন্ধান খুলশী ওমান কলেজের বিপরীতে আরেকটি পতিতালয় চালায় শাকিল বি জে এমই ভবনের সামনেও চলে দেহ ব্যবসা নাসিরাবাদ আপন নিবাসের পাশের্^ তানিম ম্যাসেজ পার্লারের অন্তরালে চলে দেহ ব্যবসা, পরিচালনায় আছে তানিয়া নামে এক দেহ ব্যবসায়ী প্রত্যেকটা স্পট থেকে কালো টাকার পেটুক লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা পেতেন। খুলশী থানা যেন অপরাধের স্বর্গ রাজ্য। এ সব অনিয়ম দুর্নীতি আর অপরাধের কথা কি প্রশাসনের বড় কর্মকর্তারা জানেনা?

শুধু দেহ ব্যবসা না, চলে মদ, জুয়া, ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক ব্যবসা। অবৈধ এবং অনৈতিক স্পট থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা পেতেন। আরো পেতেন গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা থেকে দৈনিক এবং মাসিক মোটা অংকের মাসোয়ারা কিছু অপরাধীরদের তালিকা তুলে ধরা হল: খোদেজা, স্বামী আবু, চোরাইমদ বিক্রেতা ওরফে আবুর বউ, লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১নং গলির শেষ মাথায়, রাবেয়া, স্বামী জাকির হোসেন, লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১নং গলির শেষ মাথা খুলশী। ব্যবসা-খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা তার নামে খুলশী থানায মামলা আছে মামলার নং ০৫ তাং ০২-০৪-১৪ ইং ধারা ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯ (১) এর ৯ (ক) বেলাল (৪৫) পিতা: রফিক ব্যবসা খুচরা ইয়াবা বিক্রতা লোকেশন লাল খান বাজার মতিঝর্ণা ৩নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নাই। সুমন (৩০) পিতা: গাঁজা রফিক, ব্যবসা খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৩নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। মায়া বেগম (৩২) স্বামী মো: কাজল ব্যবসা ইয়াবা ও হেরোইন খুচরা বিক্রেতা লোকেমন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪ নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। সুমী বেগম (৩০) স্বামী আব্দুল মোতালেব ব্যাবসা ইয়াবা ও হেরোইন খুচরা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং গলি খুলশী (ঈঠঘ৬) সি এম পি জেলা/ইউনিট এর খুলশী থানার এফ আই আর নং-১৫ তাং-১৯ নভেম্বর ২০১২ সময় ২-৩০ ঘটিকা দারা ২২ (গ) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলার সে এজাহারে অভিযুক্ত। জুয়েল (৩২) পিতা: মৃত সিরাজ ব্যবসা খুচরা গাঁজা বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা, মামলা নেই। বেবী বেগম (৩২) স্বামী হুমায়ন ব্যবসা ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। বেলাল (৪০) পিতা: গোফরান মাঝি ব্যবসা ইয়াবা ও হেরোইন লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং গলি খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। শাহ আলম (৪২) পিতা: মৃত বদি মিয়া, ব্যবসা হেরোইন বিক্রেতা লোকেশন লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪ নং গলি খুলশী (৪ায়৯) সি এম পি জেলা ইউনিট এর খুলশী থানার এফ আই আর নং-০৮ তারিখ ০৬ মার্চ ২০০৭ সময় বিকেল ৭-৩০ ঘটিকা ধারা-১৯(১) এর (ক) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলা। মুন্নী স্বামী হোসেন পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ৪নং-গলি খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। সাক্কুনির মা, (৪৫) পেশায় খুচরা চোলাই মদ ও ইয়াবা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, জোড়া খাম্বার গোড়া খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। হাসিনার মা, (৫০) স্বামী মুসলিম পেশায় খুচরা চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, জোড়া খাম্বার গোড়া খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। বাচ্চু (৪৮) পিতা: অজ্ঞাত পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ৫নং গলি খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। হোসনে আরা বেগম (৪০) স্বামী মোমিন মিয়া, পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ৫নং গলি খুলশী (৪াঞঝ) সি এম পি জেলা/ইউনিট এর খুলশী থানার এফআইআর নং-১০তাং ১১ইং মার্চ ২০০৭ সময় ৮.৩০ ঘটিকা ধারা ২২ (গ) / ৩৩ (২) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভূক্ত আসামী। রোকসানা বেগম (৩৫) স্বামী অজ্ঞাত পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বাটালি পাহাড়ের পাশের্^ মুক্তিযোদ্ধা সলু কমান্ডারের বাড়ী খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। মুন্নী বেগম (৩২) স্বামী শাহাবউদ্দিন পেশায় খুচরা গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১০ নং গলি মসজিদের পাশের্^ খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। মাসুম (৩২) পিতা: আলী পেশায় খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা ১০ নং গলি মসজিদের পাশের্^ (ঋঊঐ৩) সি এম পি খুলশী থানার এফআইআর নং ১৬ তাং ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সময় ১২.৪৫ ঘটিকা ধারা ১৯ (১) এর ৯ (ক) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভূক্ত আসামী। নুরু (ওরফে মদ নুরু) (৫৫) পিতা: মৃত নজির আহম্মেদ, পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বালুর মাঠের পাশের্^, খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। ফাতেমা বেগম (ওরফে বেগমী) (৫৫) স্বমী মো: ফুল মিয়া, পেশায় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বালুর মাঠের পাশের্^ গার্লস স্কুলের পিছনে, খুরশী (৭খ৯১) সি এম পি জেলা ইউনিট খুলশী থানার এফআইআর নং ২৪, ২৬ শে আগস্ট ২০০৭ সময় ৬ ঘটিকা ধারা ১৯(১) এর ১ (ক) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভূক্ত আসামী। ঝানু বেগম (৪৮) স্বামী জজ মিয়া, পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। শাবনূর বেগম (৫০) স্বামী ইউনূস পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী, (ওজ৮৯) সি এম পি জেলা ইউনিট খুলশী থানার এফআইআর নং-০৩ তাং ৫ ই জানুয়ারী ২০০৫ সময় ২.৩০ ঘটিকা ধারা ২২ (গ) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভূক্ত আসামী। জাকির হোসেন (৪০) পিতা: মৃত: সায়েদ হোসেন চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী, (ঠ৩এণ) সি এম পি জেলা ইউনিট খুলশী, এফআইআর নং-০৪ তাং ১ জুলাই ২০১৪ সময় ৪.২৫মি: ধারা ২২ (গ) ১৯৯০ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন এই মামলায় সে এজাহারভূক্ত আসামী। হুক্কি (৩৫) স্বামী তাহের ঠাকুর পেশায় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী, থানায় কোন মামলা নেই। শিল্পী আক্তার (৩০) স্বামী কালাম পেশায় গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা মাষ্টার লেইন ঝিলের পাড় জাকিরের চায়ের দোকানের পার্শ্বে, পাহাড়ারের উপরে টেলিভিশন সেন্টারের পিছনে, খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। নাসিমা বেগম (৩২) স্বামী জসীম, পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা এলাকা ওয়ার্লেস কলোনী, ৮ নং-লেইন অবাঙ্গালী (বিহারী) রেলওয়ে কোয়ার্টার খুলশী থানায় কোন মামলা নেই। শানু বেগম (৫০) পেশায় চোলাই মদ বিক্রেতা, এলাকা মাস্টার লেইন ঝিলের পাড় ঝিলের পাড় সেন্স জেভিয়ার্স স্কুলের পিছনে, তাহের ঠাকুরের বস্তি খুলশী। বেগমী (৫৫) পেশায় চোলাই মদ ও গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বালুর মাঠের পাশের্^, গার্লস স্কুলের পিছেনে খুলশী। হোসেনের বউ মুন্নী (৩৮) পেশায় গাঁজা বিক্রেতা, এলাকা লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ১নং গলি খুলশী। কহিনূর পেশায় ইয়াবা বিক্রেতা, লালখান বাজার মতিঝর্ণা, ১নং গলির শেষ মাথা খুলশী। এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক সহযোগীতা করতেন এবং এদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসিক মাসোয়ারা পেতেন কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির। নির্ভযোগ্য সূত্রে আরো জানা যায়, প্রত্যেক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লাখ টাকার উপরে মাসিক মাসোয়ারা পেতেন। মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যপারে জিরো টলারেন্স থাকার পরেও সেখানে কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির আটক না করে, ওসি নাসির এলাকায় তাদের জামাই আদরে রাখতেন। এ গেল দেহ ও মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ংকর চিত্র।
আরো আছে অল্প সময়ে রাস্তার ফকির বানানোর মেশিন জুয়া খেলার আসর আছে একাধিক স্পটে। আম বাগান এলাকায় পূবালী মাঠের দক্ষিণ দিকে ঢাকা মুখি রেললাইনের পাশের্^, জাহাঙ্গীর কর্তৃক পরিচালিত হয়। আরো জানা যায়, তিনি নাকি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। আম বাগান এলাকার হিরণ কমিশনারের বাসার পিছনে, ময়দা মিলের পার্শ্বে, রেলওয়ের পরিত্যক্ত বভনের ভিতরে। বাগান বাড়ি এলাকায় রেলওয়ে ওয়ার্কশপ গেইট সংলগ্ন বাগান বাড়ি বস্তিতে বড় মিয়া কর্তৃক পরিচালিত এরশাদের জুয়ার বোর্ড নামে পরিচিত। তাল তলা গীর্জার পিছনে শান্তির পাহাড়ে জৈনিক ডাকাত বেলাল মিয়া কর্তৃক পরিচালিত। লালখান বাজার এলাকায় একে খান এন্ড কোম্পানীর মালিকানাধীন নিকেতন পাহাড়ের পরিত্যক্ত ভবনে রফিক বাঙ্গালী ও জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে পরিচালিত হয় এই জুয়ার আসর। হোটেল সিলমুণ ওয়াসার মোড় হোটেল কর্তৃপক্ষ জুয়া খেলা পরিচালিত হয়। মতিঝর্ণা পাহাড়ের উপরে খামারের পার্শ্বে, আইয়ব আলী মো: সোলেমান, মো: সোবহান, রুবেল, খোকন, রফিক কোম্পানীর নের্তৃত্ব প্রদানকারী। এদেরকে অনেকেই চিনে ভূমিদস্যু হিসেবে। মতিঝর্ণা এলাকায়ও চলে রমরমা জুয়ার আসর, জাহাঙ্গীর দ্বারা পরিচালিত হয়। তৈয়ব, শাহআলম আরও নাম না জানা অনেকেই এই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত আছে। তুলাতুলি এলাকায় রেললাইনের সাথে জুয়ার বোর্ড চালায় জাহাঙ্গীর ও সুমন, আরও চলে ওয়ার্লেস বঙ্গবন্ধু ক্লাবের পিছনে। ঝাউ তলা বাজারে জুয়ার আসর চালায় আবু ও বশির, ঝাউ তলা রেলস্টেশনের পাশের্^, জুয়ার আসর চালায় আকবর, এরকমের জুয়ার স্পট আরও একাধিক আছে, এই সকল জুয়ার স্পট থেকে কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির প্রতিমাসে মোটা অংকের মাসোয়ারা পেতো। এই সকল অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে তার ছিল মধুর সু-সম্পর্ক।

এ অপরাধীদের লালন করে সে প্রতি মাসে কোটি টাকার উপরে আয় করতেন। কালো টাকার পেটুক ওসি নাসির যে কত’শ কোটি টাকার মালিক তা সে নিজেও জানে না। তাই বিজ্ঞ মহলের মত তার নামে বে-নামে রয়েছে শত শত কোটি টাকা, তাই বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল। আগামী সংখ্যায় মদ, গাজাঁ, জুয়া মরন নাশক ইয়াবা এবং অবৈধ গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা এবং পাহাড় কাটা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোয়ারা আদায়, কালো টাকার পেটুক ওসি নাসিরসহ পরিচালনাকারীর নাম সহ আসবে তাই চোখ রাখুন পরবর্তী সংখ্যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − 14 =