তিনি সরকারী হাসপাতালের সিনিয়র বয় হওয়া সত্তে¦ও খোদ হাসপাতালে বসেই রোগী দেখেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে। এ নিয়ে আবার দম্ভ করে বলে বেড়ান হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তাই আমাকেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
একটি সরকারী হাসপাতালে বসে হাসপাতালের একজন সিনিয়র বয় কি ভাবে রোগী দেখেন তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনেমনে। অভিযোগের তীর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ বয় মোঃ হারুন অর রশিদ খন্দকারের বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ হারুন অর রশিদ খন্দকার প্রতিনিয়ত বহিঃ বিভাগে বসে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। গ্রাম থেকে ছুটে আসা সাধারন রোগীরা তার কাছ থেকে চিকিৎসা সেবার নামে অপ চিকিৎসা পেয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। এছাড়াও সাধারন রোগীদের হয়রানী ও রোগীদের সাথে আচরন খারাপ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ডাক্তার জানান, সিনিয়র স্টাফ নার্স মোঃ হারুন অর রশিদ খন্দকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা করা কথা থাকলেও তিনি প্রভাব দেখিয়ে বহিঃ বিভাগে বসে রোগী দেখছেন। চিকিৎসা প্রদানের নামে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসতেছেন। এই ব্যাপারে কথিত ডাক্তার হারুন অর রশিদ খন্দকার জানান, আমাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হাসিনা সুলতানার রেজিষ্টার সমন্বয় করার দায়িত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। রোগী দেখার বৈধতা আমার না থাকলেও ডাক্তার সংকটের কারনে বহিঃ বিভাগে বসে আমি রোগী দেখি। এইদিকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কামরুল হাসান সোহেল জানান, মোঃ হারুন অর রশিদ খন্দকার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স। আমরা তাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হাসিনা সুলতানার রেজিষ্টার সমন্বয় করার দায়িত্ব দিয়েছি। রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য নয়। চিকিৎসা প্রদানের বিষয়টি আমি এই মাত্র জানতে পেরেছি। এই ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মজিবুর রহমান বলেন, এই মাত্র আপনার কাছ থেকে আমি শুনলাম। বিষয়টি জেনে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।