সন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটাতে বাধ্য হয়ে সুপার শপ থেকে দুধ চুরি করা সেই বাবাকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিল রিটেইল চেইন শপ স্বপ্ন। তবে তিনি স্বপ্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। পুলিশের বেঁধে দেয়া সময়েও দেখা করেনি। তাছাড়া তার ব্যক্তিগত মোবাইলটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাতে তার খিলগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আসার কথা থাকলেও আসেননি তিনি। এরপর প্রযুক্তির ব্যবহার করে তার পূর্ণাঙ্গ পরিচয়, বন্ধুর নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। নাম-পরিচয় গোপন রাখার আশ্বাস দিয়ে আজ রবিবার তাকে আবারও পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। সেই বাবা আজ খিলগাঁও পুলিশ কার্যালয়ে আসবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে সেই অসহায় ব্যক্তি এক বাবার এক ছেলে, সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। আত্মসম্মানবোধের কারণে তিনি পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। পুলিশ তাকে নিশ্চিত করেছি যে তার নাম-পরিচয় সব গোপন রাখা হবে। তিনি অবশ্য পুলিশকে কথা দিয়েছেন- আজ আসবেন। তবে তার জন্য স্বপ্নের দ্বার এখনও খোলা রয়েছে। তিনি আসলে স্বপ্ন কতৃপক্ষ তার দায়িত্ব নেবে এবং তার নাম-পরিচয় গোপন রাখবে। এর আগে গত ১০ মে রাজধানীর বাকি সড়কে কর্তব্যরত থাকা অবস্থায় এসি জাহিদুল ইসলাম ‘বাচ্চার জন্য বাবার দুধ চুরির’ মতো হৃদয়বিদারক ঘটনার বর্ণনা দেন ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই তার দায়িত্ব নেয়া ঘোষণা দেয় স্বপ্ন।