অবি ডেস্ক: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের ৪৬ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, বাগেরহাট, জামালপুর, বরগুনা, সিলেট, গাইবান্ধা, বরিশাল, নেত্রকোণা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, কক্সবাজার, কিশোরগঞ্জ, মাগুরা, রংপুর, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নোয়াখালী, নওগাঁ, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, নাটোর, নরসিংদী, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, ফরিদপুর, ফেনী, মাদারীপুর, বগুড়া, খুলনা, ঝালকাঠি, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় বাজার তদারকি করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক জনাব আতিয়া সুলতানা, জনাব মোঃ মাসুম আরেফিন, জনাব আফরোজা রহমান, জনাব ইন্দ্রানী রায় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল কর্তৃক পল্টন, কারওয়ান বাজার, ভাটারা ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরির অপরাধে ঘরোয়া রেস্টুরেন্ট, কবির হোসেন আদি বনফুল, বিক্রমপুর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার, নিউ আমন্ত্রণ রেস্টুরেন্টকে যথাক্রমে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা, ৯০,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা, ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে বিক্রমপুর স্টোর, টিটি ফার্মা, কবির হোসেন আদি বনফুল, শাহ বিতান স্টোর, এখলাসের ফলের দোকান, জিনিয়াস শপি: সেন্টারকে যথাক্রমে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে আরিফ জেনারেল স্টোর, সরিফ ফ্রুট, মিম ফ্রুট, হাজী আহসান এন্টারপ্রাইজ, রিয়া জেনারেল স্টোর, সুমি ভ্যারাইটিস স্টোর, আনোয়ার জেনারেল স্টোর, নবাবগঞ্জ স্টোর, ওয়াহেদ জেনারেল স্টোর, আলম রাইছ স্টোর, শহিদ ফল বিতান, আশিক ফল বিতান, বাচ্চু ফল বিতান, ফরিদপুর ঋতু এন্টারপ্রাইজ, সিরাজ ফল বিতান, শাহজাহান ফল বিতানকে যথাক্রমে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে বিক্রমপুর ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভান্ডার, বিসমিল্লা খাসির মাংসের দোকান, ওয়াসিম খাসির মাংসের দোকান, মায়ের দোয়া খাসির মাংস বিতান, মাদারীপুর স্টোরকে যথাক্রমে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা, ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকাসহ মোট ৩,৫৭,০০০/- (তিন লক্ষ সাতান্ন হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অপরদিকে প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব প্রনব কুমার প্রামানিক কর্তৃক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মোবাইল টিমের সাথে ঢাকা মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া দেশব্যাপী ৩৯টি বাজার তদারকির মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, ওজনে কারচুপির, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ১০৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪,৯২,৯০০/- (চার লক্ষ বিরানব্বই হাজার নয়শত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা প্রদান করা হয়।
গত ১২ মে ২০১৯ তারিখে ৪৬টি বাজার তদারকি ও ২টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ১৪২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮,৫৮,৯০০/- (আট লক্ষ আটান্ন হাজার নয়শত) টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং আদায়কৃত জরিমানা হতে ২ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়ন, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং ক্যাব এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়েছে।