লাশবাহী গাড়িতে পুলিশের চাঁদা দাবি

0
540

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি লাশবাহী পিকআপভ্যান আটকে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগে পরিবহন শ্রমিকরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বিলাসেরপাড় গ্রামের কাছে ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কে।

জানা যায়, সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলগামী লাশবাহী পিকআপভ্যানটি ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কের বিলাসেরপাড় এলাকায় পৌঁছলে সাতগাঁও হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গাড়িটিকে থামান। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, গাড়িটি থামিয়ে পিকআপ ভ্যানে লাশ পরিবহন বেআইনি উল্লেখ করে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ চালকের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় পুলিশ সদস্যরা লাশবাহী গাড়িটি আটকে রাখেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে শ্রীমঙ্গলের পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে কয়েকটি ট্রাক ও জিপ এলোপাথাড়ি করে রেখে সড়কটি অবরোধ করে রাখেন। পরে বেলা ২টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করা হবে মর্মে আশ্বাস দিলে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।

ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান মিয়া বলেন, সাতগাঁও হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তার নৈরাজ্যের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তিনি লাশবাহী গাড়ি থেকেও টাকা আদায় করতে চাইছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে অবরোধের কারণে ঘটনাস্থলের উভয়পাশে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কের শ্রীমঙ্গলের উত্তরসূর থেকে মতিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানবাহনের সারি পড়ে।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাতগাঁও হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল বলেন, হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ রাখা। সড়ক নিরাপদ রাখতে আমরা প্রতিদিনই যানবাহন আটকে কাগজপত্র, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 2 =