শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে মেয়ের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধা মায়ের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার হাসাড়া ইউনিয়নের নাগেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী অসহায় বৃদ্ধা নারী কমলা রানীর ছোট মেয়ে কাঞ্চন রানী মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তার মা কমলা রানীর বয়স প্রায় ৮৫ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি তাকে ভরণ পোষন ও দেখভাল করে আসছে। গত ইংরেজি ১৯৬৯ সালে ৪৫০৮ নং দান পত্র দলিল করে কমলা রানীর পিতা মৃত-রুপচান মন্ডল হাসাড়া মৌজার আর.এস ৬৬৭ নং খতিয়ানের ৫৭৩৩ ও ৫৭৩৬ নং দাগের ৩৯ শতাংশ সম্পত্তি রেজিষ্টি করে দেয়। হঠাৎ গত বুধবার সকালে ওই সম্পত্তি কমলা রানীর বড় মেয়ে যুবমায়া রানীর মেয়ে জামাতা কানাই মন্ডল সার্ভেয়ারসহ লোকজন নিয়ে জোর-পূর্বক মাপ-জোপ শুরু করে এবং বৃদ্ধা নারী কমলা রানী ও তার ছোট মেয়ে কাঞ্চন রানীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধুমকী ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছেরে অন্যত্র চলে যেতে বলে।
কাঞ্চন রানী আরো অভিযোগ করে বলেন, যুবমায়া রানী তার ১৩৯৮ নং দলিলে উল্লেখ করেছেন বৃদ্ধা কমলা রানীর দলিলটি ১৯৫৯ সালে করা হয়েছে। এছারা হাসাড়া মৌজার আর.এস ৫৭৪০ ও ৪৬৪৫ নং ভূল দাগ উল্লেখ করে ৩৪ শতাংশ জায়গা দলিল করে নেয়। পরবর্তিতে তিনি তার মেয়ে জামাতা কানাই মন্ডলের নামে দান করে দেন। অথচ অসহায় বৃদ্ধা কমলা রানীর দলিলের সাথে যুবমায়া রানী ও তার মেয়ে জামাতা কানাই মন্ডলের দলিলে আর.এস দাগের কোন মিল নেই। তারপরও ভূমি অফিস থেকে ওই সম্পত্তি কানাই মন্ডলের নামে নামজারী ও জমাভাগ করে দেওয়া হয়েছে। জোর-পূর্বক বৃদ্ধার জায়গা মাপ-জোপ ও দলিল বিষয়ে কানাই মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমার শ^াশুরী যুবমায়া রানী আমাকে তার সস্পত্তি দান করে দিয়েছে। আর.এস দাগ ভূল হয়েছে। পরে তা সংশোধন করে নিব।
দলিল ও জায়গা মাপ-জোপ বিষয়ে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য রওশনারা, সাবেক ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন ও প্রতিবেশি আবুল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, কানাই মন্ডল জায়গাটি যার কাছে বিক্রি করবে সে দলিল সম্পর্কে বুঝবে। আমাদের শুধু মাপ-জোপ ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য ডাকা হয়েছে। দলিল ভূল কিবাং সঠিক, সে বিষয়ে আমাদের জানার প্রয়োজন নেই।
কমলা রানীকে ভয় ভীতি দেখানোর কারনে তার ছোট মেয়ে কাঞ্চন রানী মন্ডল বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেছেন। যাহার নং-৮৩৩। এছারা জায়গা বিষয়ে অসহায় বৃদ্ধা কমলা রানী শ্রীনগর সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে একটি মিসকেইস করেছে। যাহার মিসকেইস নং- ২৬৩/১৮-১৯।