কাফরুল এলাকায় নাজমুল নাহার ভিলায় চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা ও প্রতারনা

0
3568

হাবিব সরকার স্বাধীন

 মিরপুর কাফরুলে আবাসিক হোটেল গুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা দীর্ঘদিন যাবৎ নারীদের দিয়ে দেহব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।মিরপুর এক নম্বরের বাগদাদ, ডায়মণ্ড, টাইম স্টার, গোল্ডডেন,সুপার স্টার, শাহ আলী, প্রিন্স, শাপলা হোটেল সহ গোটা মিরপুরের প্রায় সবগুলিই হোটেলেই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলেও এলাবাসীর অভিযোগ।

এই আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে। নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও কেউই মানছে না এই নিয়ম।তাছাড়া কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলে রমরমা মাদক বানিজ্য। ভিবিন্ন হোটেল গুলিতে নারী দিয়ে সহযোগিতা করেন মিরপুর কাফরুল এলাকার ফিটিং রানী সাবিনা, অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুরের কাফরুল থানার নাজমুল নাহার ভিলা,২৬৪/৪/পৃর্ব কাজীপাড়া মিরপুর কাফরুল ঢাকা ১২১৬/ নীচ তালার পুরা অংশ চলছে ফিটিং বানিজ্য। এই চক্রের কিছু ভুয়া পুলিশ,মাতৃজগতে পরিচয় নামধারী সাংবাদিক রয়েছে।তাদের কাজ সময় মত ছবি তুলা,নারী দিয়ে ফিটিং তার পরে চলে পুলিশের ভুমিকা। সাবিনার স্বামী থাকে সোর্স হিসাবে।খদ্দার নিয়ে আসেন শহিদ বাহিনী একাধিক মামলার আসামী শহিদ, কাফরুল থানার অপহর মামলার আসামী,তদন্ত কর্মকর্ত এস আই সোহেল।

বনানী থানায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মামলার আসামী তদন্ত কর্মকর্তা এস আই প্রেম দাস,৷ হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার শরীফে অবাধ চলাফেরা করার সুযোগ থাকায় বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে পালিয়ে, ব্যাক্তিগত কাজ, অন্যান্য কারনসহ কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে আসা বিভিন্ন নারী-পুরুষ কোন আশ্রয় না পেলে এই মাজারে আশ্রয় নেয়। আর এখানে অবস্থানরত বিভিন্ন দালালেরা অসহায় নারীদেরকে টার্গেট করে কৌশলে নাজমুল নাহার ভিলায় নিয়ে যায়। এমনকি দু-এক রাত সাবিনা রেখে তাদেরকে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচারও করে দেওয়া হয় এমন৷ তথ্য পাওয়া গেছে।সরাসরি সাবিনা সাথে কথা হলে সে বলে ভাই চা বিস্বুট খেয়ে নেন। আমার শেল্টারদাতার তালিকায় অন্ধকার জগতের ডন ও প্রভাবশালী নেতা রয়েছে। আশ্চর্য ও অবিশ্বাস্য হলে সত্য, তার কথা মিল আছে বাহিরে আসতে দেখি পুলিশের গাড়ী তার বাসার পাশে সবক্ষন আসে পাশে থাকে তারা। সাবিনার ফিটিং কাছে প্রতারণা জালিয়াতির শিকার যারা রুবেল,জাফর, আনারুল,শামিল, কাউসার,সুমন,নারীরা শান্তা, আলেয়া, তানিয়া,নফী,বিলকিস,পপি, ও আরো আনেকে। ভিবিন্ন এলাকায় দালালের চক্র, আর কেউ নন বরং পীরসাহেবা৷ পীর, সেজে মাজার শরীফ প্রাঙ্গনে বিভিন্ন আসন পেতে রকমারী আগরবাতি/মোমবাতি জ্বালিয়ে অবস্থানরতা মহিলাগণই।মাজার শরীফের মূল প্রাঙ্গনে ঢুকলেই এই পীর সাহেবা মহিলাদের আসনগুলি ঘিরে নানা ধরনের মানুষকে তাদের ঘিরে বসে থাকতে দেখা যায়। মূলত এই লোকগুলোই তাদের পোষা দালাল। আর এই মহিলাদের মূল কাজই হচ্ছে নারী ব্যবসা। তারা নিজেদের এই আস্তানায় বসে কাস্টমার সন্ধানের পাশাপাশি নানা রকম মাদক ব্যবসা করে বলেও জানা গেছে। দূর দুরান্ত থেকে আসা মাজারে আশ্রয় নেয়া অসহায় মেয়েদেরকে ফুসলিয়ে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে নিজেদের বাসায় নিয়ে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে এই পীরসাহেবাগণ। এমনকি অসহায় আশ্রয়হীন মেয়েগুলোকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন পতিতালয়ে পাচার করে দেয় এরাই।এই কাজেও সক্রিয় ভাবে হোটেল মালিক-পরিচালকগণ তাদেরকে সহযোগিতা করে। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, নাজমুল নাহার মালিক-পরিচালকগণ প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায়না। তাছাড়া পুলিশের সাথেও তাদের সুম্পর্ক রয়েছে। ফলে এসকল অপকর্ম করতে তাদের তেমন কোন বেগ পেতে হয় না। এ প্রসঙ্গে কাফরুল থানার ওসি বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশের কাছে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে যথাযগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × two =