আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগেও রীতিমত সাইন বোর্ড টানিয়ে তেল পড়া, পানি পড়া, তাবিজ কবজ আর বান টোনার মত প্রতারণা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক শ্রেণীর প্রতারকের দল।
নিজেকে কখনো হেকীম, কখনো কবিরাজ আবার কখনো খোনার পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এভাবে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে এ সকল ধান্ধাবাজেরা। উপজেলার হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় গজিয়ে ওঠা এসকল কবিরাজদের অপচিকিৎসায় অনেকে একদিকে যেমন শরীরিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অন্যদিকে দাবীকৃত মোটা দাগের টাকা শোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায় লক্ষ্মীপুর রায়পুরপৌরশহরে যুগীহাটা, আলীয়া মাদ্রাসার পশ্চিম পার্শ্বে, বামনী,কেরোয়া,হায়দারগঞ্জে, উত্তর, দক্ষিণ চরবংশী বাজারে বেশ কয়েকটি খোনকারী আখড়া গড়ে উঠেছে। এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে দুর দুরান্ত থেকে রুগী ধরে আনা হয়। রায়পুরে সুমন কবিরাজ, আবুল কালাম খোনকার, নিজেকে হেকীম দাবী করে যুগ যুগ ধরে অপ চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
ফার্মেসী নাম দিয়ে রীতিমত চেম্বার খুলে চলে তার এ প্রতারনা বাণিজ্য। একদল দালালের মাধ্যমে সহজ-সরল মানুষকে ভুলিয়ে ধরে আনা হয় তার কাছে। সর্ব রোগের চিকিৎসক আবুল কালাম, সুমন কবিরাজ ঘর। কখনো পানি পড়া, কখনো তেল পড়া, খোবা পড়া, ঝাড় -ফুঁকসহ মেয়াদহীন ও অনুমোদনহীন পাচনের বোতল ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা। লিফলেট ছাপিয়ে মন ভোলানো রোগের কথা বলে রোগীদের প্ররোচিত করা হয়। লিফলেটে দেখা যায় পাগল, মানসিক রোগী, যে কোন ধরনের জর, মহিলাদের যে কোন রোগ, নষ্ট, আচর, বান-টোনা, মেয়েদের বিবাহ, স্বামী-স্ত্রীর অমিল সহ সর্ব রোগের চিকিৎসা দেন তিনি। তার চেম্বারে গিয়ে বেশ কিছু অশিক্ষিত মহিলা ও পুরুষ পাওয়া যায়।
তাদের কেউ এসেছে পেট ব্যাথা, কেউ এসেছেন মেয়ের বিয়ে হয় না চিকিৎসা নিতে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলত গ্রাম গঞ্জের সহজ-সরল মানুষ এদের প্রধান টার্গেট। দালালদের মাধ্যমে তাদের এনে মন ভোলানো কথা বলে হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমান টাকা। কথা হলে কবিরাজ সুমন, আবুল কালাম বলেন, উপকার পায় বলেই মানুষ আমাদের কাছে আসে। তাছাড়া আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি। আপনারা লিখলে আমাদের কিছুই হবেনা।