বন্যার পানিতে আনন্দ করতে গিয়ে প্রাণ হারাল পাঁচ জন মেয়ে

0
764

বন্যার পানিতে আনন্দ করতে গিয়ে প্রাণ হারাল পাঁচ জন মেয়ে। এদের সবার বয়স আট থেকে ১৭ এর মধ্যে, যাদের দুই জন আপন বোন। অন্যরাও তাদের মামাতো ও ফুপাতো বোন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাণ হারা পরিবারের পাশাপাশি শোকে মুহ্যমান হয়ে গেছে গোটা কালিকাপুর।

যারা মারা গেছে তাদের মধ্যে আছে কালিকাপুর গ্রামের খবির উদ্দিনের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে সুবর্ণা এবং ১৪ বছরের ঝুমা। অন্যরা হলো গোলাম মোস্তফার মেয়ে ১০ বছরের অন্তরা, বাটিকামারীর রিপন শিকদারের আট বছর বসয়ী মেয়ে রুদসী এবং জবানুরের ১০ বছরের মেয়ে জান্নাত।

এদের মধ্যে সুবর্ণা কলেজে পড়তেন। অন্যরা তৃতীয় শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ জানায়, রুদসী ও জান্নাত নানীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। মামাতো বোন সুবর্ণা, ঝুমা ও অন্তরার সঙ্গে বাড়ির পাশে মিঠাই বিলে ডিঙ্গি চড়ে বেড়াতে যায়। কিন্তু বন্যার স্রোতের পানিতে নৌকাটি সামলানোর মতো দক্ষতা কারো ছিল না।

উল্টো আতঙ্কিত হয়ে মেয়েগুলো নড়াচড়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে ডিঙ্গিটি উল্টে যায়। এতে পাঁচজনই পানিতে তলিয়ে যায়। কেউ সাঁতরে তীরে উঠতে পারেনি। এদের কেউ সাঁতার জানত কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়।

পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে মেয়েদেরকে উদ্ধার করতে আসে। কিন্তু তারা তীরে নিয়ে আসার আগেই প্রাণ হারায় শিশুগুলো।

সরিষাবাড়ীর তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোহাব্বত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মোট নয়টি শিশু ছিল ডিঙ্গি নৌকায়। স্রোতে দুলতে থাকায় সেটি ডুবে যায়। এ সময় চার জন সাঁতরে নদীর পারে চলে আসে। স্থানীয়রা ছুটে এসে বাকিদের সন্ধানে পানিতে নামে। কিন্তু তাদের কাউকে বাঁচাতে পারেনি।

স্থানীয় আওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন  বলেন, ‘নৌকাডুবির সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু তীব্র স্রোত থাকায় তাদের খুঁজে পেতে দেরি হয়।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five + 7 =