পুষ্পধারা প্রপার্টিজ এর এমডি সৈয়দ আলীনুরের প্রতারণা অব্যাহত

0
1671

হাউজিং শিল্প প্রতিবেদক: অপরাধ বিচিত্রার চোখে ধরা পড়ে গেল অনুসন্ধানী চোখের জালে। পুষ্পধারার সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগন এক সময় মনে করেছিলেন এটি পুষ্প নামের সাথে মিল রেখেই নির্ভেজাল নিষ্কন্টক হাউজিং ব্যবসা চালিয়ে যাবে। কিন্তু পুষ্পধারার এমডির কালো মনের ভাষা তখন কেউই বুঝতে পারেনী। ফলে সবাই মিলে পুষ্পের মতই কলঙ্কহীন মনে করে কাজ করছিল। নিজেদের আত্বীয় স্বজনদের পুষলিয়ে পুষ্পধারায় প্লট ক্রয়ে উদ্ভুদ্ধ করেছিল। কয়েকদিন না যেতেই পুষ্পধারার এমডির আসল চেহারা উন্মোচিত হতে লাগল। জমি নাই ৫বিঘা আর প্লট বিক্রি করছে হাজার হাজার। এখনতো অবস্থা এমন হয়েছে না পারছে আত্বীয় স্বজনকে জানাতে, না পারছে প্লট বুঝিয়ে দিতে, না পারছে টাকা ফেরত দিতে।

এমন ত্রিশঙ্কুল অবস্থায় কর্মকর্তা, উপদেষ্টো, সহ বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিগন পড়েছেন বিপদে। এসব কর্মকর্তা গন এসব প্লট বিক্রয়ের থেকে কমিশনও নিয়েছেন। আর এমডি বিনা পুজিতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এভাবেই সহজ সরল ক্রেতাদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকও নাকি দায়িত্ব নিয়েছেন সংবাদপত্রগুলোকে ম্যানেজ করে রাখার জন্য, আর এর বিনীময়ে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডাইরেক্টর হিসাবে। এভাবেই প্রতারণা চলছে কয়েক বছর যাবৎ।

এ পর্যন্ত নাকি ৫ হাজার প্লট বিক্রয় করেছেন। নানা বিশেষন সংযুক্ত ২, ২.৫, ৩, ৪, ৫, ১০ কাঠার নানা নামে উত্তর দক্ষিন নানা সুবিধা সংবলিত প্লটের নাম দিয়ে অধিক মুল্যেও প্লট বিক্রয় অব্যাহত রেখেছেন।
পুষ্পধারা প্রফাটিজ এর এমডি সৈয়দ আলীনুর ইসলাম পুষ্পধারা প্রফাটিজ ব্যবসা শুরু করার পুর্বেও অন্য কোম্পানীর নামে এধরনের প্রতারণা করে এখন নতুন নামে ব্যবসা শুরু করেছেন। সেখান থেকে প্রতারণা করে নতুন নামে ঢাকায় মালিবাগে অফিস খুলে শুরু করেছেন প্রতারণা ব্যবসা। পুষ্পধারার এ প্রকল্পের নাম দিয়েছেন পদ্মা ইকো সিটি।

সাইনবোর্ড নির্ভর জায়গা ভাড়া নিয়ে তার এই প্রতারণা ব্যবসাব্যাহত রয়েছে। প্রবাসীদের টার্গেট করেই তার ব্যবসা চলছে। কিস্তিতে প্লট বিক্রয়ের নামে কিস্তিতে টাকা নিয়ে এক সময় উদাও হয়ে যাবার পরিকল্পনা করেই এ ব্যবসা শুরু করেছে। সৌদি, মালয়েশিয়া, দুবাই, কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্যর প্রবাসিদের কাছে বিক্রয় করে প্রতারণা করেই তার প্রতারণা চলছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর মৌজায় ১৭৯৭ নং খতিয়ান ৭৮৬ নং আর এস দাগ নং ১৭৯৭/৮২ নাল জমি। এর পরিমান ১৮ শতাংশ এবং ১১৪ শতাংশ।

সৈয়দ আলী নুর কখনো ডিজিএফইএর উধ্বতন কর্মকর্তাগন তার আত্বীয়, প্রধান মন্ত্রীর দপ্তরের লোকজন তার আত্বীয়, নানা সাংবাদিক এর নাম ভাঙ্গিয়ে আলী নুর প্রভাব খাটাচ্ছে। কথনো র‌্যাব প্রধান তার আত্বীয়, পুলিশে তার বড় ভাই এ ধরনের নানা মিথ্যা কথা বলে সে গ্রাহকদের কাছে নিজেকে হাই লাইটস করছে। অনেক উর্ধ্বতন লোক তার এ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছে বলেও সাধারন গ্রাহকদের সে প্রভাবিত করছে। পুষ্পধারার সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে পরিবেশ সাটিফিকেট, জেলা প্রশাষকের অনুমতি পত্র, বা প্রয়োজনীয় কোন অনুমতি ব্যতিরিকেই প্রতারক আলীনুর এ ব্যবসা চারিয়ে যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

19 − 14 =