ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টিপু মুনশির বৈঠক মার্কোসারের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে

0
675

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনুশ বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ব্রাজিলের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশর তৈরি পোশাক, ঔষধসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে ব্রাজিলে। বাংরাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক বেশি হবার কারনে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ব্যবদান বেড়েই চলছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ ব্রাজিলে ১৭৬.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৫২০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর জন্য ব্রাজিলের উচ্চ আমদানি শুল্কহার কমানো প্রয়োজন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী পণ্য ব্রাজিলের বাজারে আমদানি বাড়াতে ব্রাজিল সরকার এবং ব্রাজিলের আমদানিকারকদের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করা হলে ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের রপ্তানি বাড়বে। মার্কোসারের আসন্œ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি(এফটিএ) উপস্থাপন করা হলে তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে বলে বাংরাদেশ বিশ্বাস করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি এমপি গত ১৯ আগষ্ট দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট মার্কোসার ( ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্যিক জোট) সফরের প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিন ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে একান্ত বৈঠকে এ সব কথা বলেন। এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থ উপমন্ত্রী, ব্রাজিল কটন এ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ফ্যাডারেশন অফ ইন্ডাষ্ট্রি সিএনআই এর বৈঠক করেন।

ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরী পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে উচ্চ শুল্কহার কমানোর আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে একমত পোষণ করেন। এ বছর অনুষ্ঠিতব্য মার্কোসারের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি(এফটিএ) উপস্থাপনের জন্য আশ্বাস প্রদান করা হয়। এছাড়া, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কনসেপ্ট নোট বিনিময়ের সিদ্ধান্ত হয়।

তুলা উৎপাদনকারী এসোসিয়েশনের সাথে বৈঠকে ব্রাজিল থেকে উন্নতমানের তুলা আমদানির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। একই সাথে উক্ত তুলা দিয়ে প্রস্তত তৈরি পোশাকের উপর শুল্ক হ্রাস ও অধিক আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য ব্রাজিলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। তুলা উৎপাদনকারী এসোসিয়েশন বাংলাদেশি একটি ওয়্যারহাউস স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যাতে কম সময়ে তুলা প্রেরণ করা যায়।

ব্রাজিল ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রির সাথে সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশের মধ্যে মডেল বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া, উক্ত সংস্থা বাংলাদেশে কারিগরী জনশক্তি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য ব্রাজিল আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উক্ত সভায় বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা ও সাফল্য বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × 2 =