রাজধানীর মাফিয়া ঠিকাদার জি কে শামীমের কললিস্টে ছয় মন্ত্রীর নাম পাওয়া গেছে। জি কে শামীমকে যখন শুক্রবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশ তার কার্যালয় থেকে আটক করে তখন তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। প্রথমে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী শামীমের ফোন ধরলেও তার বাসায় র্যাব এসেছে শুনে তিনি ফোন কেটে দেন।
এরপর শামীম তাকে আরও কয়েকবার ফোন করলেও ওই মন্ত্রী আর ফোন ধরেননি। এরপর একে একে আরও কয়েকজনকে প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ফোন করেন শামীম। তবে এদের সবাই তাকে এড়িয়ে যান। প্রভাবশালী ছয় মন্ত্রীর সঙ্গে শামীমের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। বিভিন্ন টেন্ডারে কাজ পেতে এই মন্ত্রীরা তাকে সহায়তা করতেন।রিমান্ডে থাকা জি কে শামীম বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর দু’একজন ছাড়া শীর্ষমহলের সবার সঙ্গেই তার যোগাযোগ ছিল। সবাইকেই তিনি বিভিন্ন সময়ে সহায়তা করেছেন। জি কে শামীম আরও দাবি করেছেন যে, বিপুল পরিমান টাকা তিনি টেন্ডারে কাজ পাওয়ার জন্য শীর্ষমহলকে ঘুষ দিয়েছেন।টাকা ছাড়া কেউ তাকে কাজ দেয়নি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে যে, জি কে শামীম যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেগুলো সত্য কিনা তা যাচাই করে দেখতে হবে। কারণ একজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলে বাঁচার জন্য যে অনেককিছুর আশ্রয়ই গ্রহণ করে। তবে একটি বিষয় গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই প্রমাণ পেয়েছে যে যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের নেতা হলেও জি কে শামীম নিয়মিত বিএনপিকে টাকা দিতেন। এই টাকার হিসাব লেখা একটা খাতারও সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা।