ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী ও এসআই ওমর ফারুকের অপকর্মের তদন্ত চলছে

0
878

স্টাফ রিপোর্টার: যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী ও যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ওমর ফারুক মাদক কেলেংকারী ঘটনা অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশের পর এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: রবিউল ইসলামের অধীনে তদন্ত চলছে। যাত্রাবাড়ী থানার অধীনে সায়েদাবাদ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ওমর ফারুক প্রায় ৬০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনকে তার ভাড়াবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ৬ বোতলের মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। বাকী ৫৪ বোতল গেলো কোথায় এমন প্রশ্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের। শুধু এখানে শেষ নয় মাদক উদ্ধার করা হলো ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকার ৫১ নং নতুনপাড়া নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর ৭ তলার আমজাদের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট থেকে। অথচ মামলায় উল্লেখ করা হয় আমজাদকে আটক করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনপাড়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে।

আবার যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ কিভাবে ডেমরা থানাধীন এলাকায় অভিযানে গিয়ে মাদক উদ্ধার করলো তা নিয়েও উঠে নানা প্রশ্ন। যদি ডেমরা থানাকে বিষয়টি অবগত করে অভিযান করা হয়ে থাকে তাহলে মামলায় ঘটনার স্থান কেন যাত্রাবড়ীর কোনাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড উল্লেখ করা হলো। এসআই ওমর ফারুক ও ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী (বর্তমানে সুত্রাপুর থানার ওসি) মাদক ব্যবসায়র নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত করে একাধিক সুত্র। এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রা নিবিড় অনুসন্ধান শেষে একাধিক সংবাদ করে। সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত।


অনন্ধানে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই ওমর ফারুক ১৬ এপ্রিল-২০১৯ নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাদক ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনকে তার বাসা থেকে অন্তত ৬০ বোতল ফেন্সিডিল সহ প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে, আমজাদের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করে এবং ৬০ বোতলের পরিবর্তে ৬ বোতল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা রুজু করে তাকে আদালতে চালান দেয়ার পেছনের রহস্য ছিলো এসআই ওমর ফারুক থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ সাথে সমন্বয় করে আসামী আমজাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পিত নাটক।

আমজাদকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ জব্দ দেখিয়ে চালান করায় সে অল্প সময়ের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসে এবং প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি দেয়। অর্থাৎ মোটা টাকার বিনিময়ে ওসি কাজী ওয়াজেদ ও এসআই ওমর ফারুক মাদক ব্যবসায়ী আমজাদকে কঠিন শাস্তির হাত থেকে বাচিয়ে হাল্কা করে মামলা দিয়ে চালান দেয়ায় সে জামিনে বেরিয়ে এসে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীদের উপর চড়াও হয়। জামিনে এসে আমজাদ তার দলবল নিয়ে মামলার এজারভুক্ত প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বলে, তুই আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস, তোর কপালে খারাপি আছে। তুই সাপে গর্তে পা দিয়েছিস।


এদিকে, যেই ঘরে থেকে আমজাদকে মাদক সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই ঘরে ঐ সময় আমজাদের স্ত্রীও অবস্থান করে ছিল। আইন অনুযায়ী সেও ঐ মামলার আসামী। তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। আবার এসআই ওমর ফারুক যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ হয়ে ডেমরা থানাধীন এলাকায় অভিযানে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ঐ থানাকে অবহিত করার কথা থাকলেও সে এই নিয়ম অমান্য করে শুধুমাত্র সোর্সের দেয়া তথ্যমতে আমজাদকে গ্রেপ্তার করে গ্রেপ্তারের স্থান পরিবর্তন করে মামলা রুজু করে। এসআই ওমর ফারুকের এই নাটকিয়তার পেছনে মুলরহস্য ছিলো আমজাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও আমজাদের পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা

ও আমজাদের এক ভগ্নিপতি বর্তমানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলাকালে এসআই ওমর ফারুক আসামী আমজাদ হোসেনের মুঠো ফোনে তার ভগ্নিপতি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছিলেন এবং এসআই ওমর ফারুক তাকে নিশ্চিত করে বলেন, স্যার বিষয়টি দেখছি। আমজাদ ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেও সে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবু তাহেরে ছেলে। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে।

কিন্তু কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দিঘিরপাড় নামে কোন গ্রামের অস্থিত্ব নেই। তাহলে মামলায় কেন এই ভুল ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। আবার ডগাইর বড়ভাঙ্গা মসজিদের পাশে ও বোর্ডমিলের পাশে আমজাদের স্থায়ী দুটি বাড়ী আছে বলে সুত্রে জানা যায়।
এব্যাপারে এসআই ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কথা বলবো না। কিছু জানতে হলে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসি স্যারের নিকট জিজ্ঞেস করুন। ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। অপরাধ প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাকী ৫৪ বোতল গেলো কোথায় এমন প্রশ্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের। শুধু এখানে শেষ নয় মাদক উদ্ধার করা হলো ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকার ৫১ নং নতুনপাড়া নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর ৭ তলার আমজাদের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট থেকে। অথচ মামলায় উল্লেখ করা হয় আমজাদকে আটক করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনপাড়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে। আবার যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ কিভাবে ডেমরা থানাধীন এলাকায় অভিযানে গিয়ে মাদক উদ্ধার করলো তা নিয়েও উঠে নানা প্রশ্ন। যদি ডেমরা থানাকে বিষয়টি অবগত করে অভিযান করা হয়ে থাকে তাহলে মামলায় ঘটনার স্থান কেন যাত্রাবড়ীর কোনাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড উল্লেখ করা হলো।

এসআই ওমর ফারুক ও ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী (বর্তমানে সুত্রাপুর থানার ওসি) মাদক ব্যবসায়র নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত করে একাধিক সুত্র। এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রা নিবিড় অনুসন্ধান শেষে একাধিক সংবাদ করে। সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত।
অনন্ধানে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই ওমর ফারুক ১৬ এপ্রিল-২০১৯ নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাদক ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনকে তার বাসা থেকে অন্তত ৬০ বোতল ফেন্সিডিল সহ প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে।

কিন্তু গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে, আমজাদের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করে এবং ৬০ বোতলের পরিবর্তে ৬ বোতল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা রুজু করে তাকে আদালতে চালান দেয়ার পেছনের রহস্য ছিলো এসআই ওমর ফারুক থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ সাথে সমন্বয় করে আসামী আমজাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পিত নাটক। আমজাদকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ জব্দ দেখিয়ে চালান করায় সে অল্প সময়ের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসে এবং প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি দেয়। অর্থাৎ মোটা টাকার বিনিময়ে ওসি কাজী ওয়াজেদ ও এসআই ওমর ফারুক মাদক ব্যবসায়ী আমজাদকে কঠিন শাস্তির হাত থেকে বাচিয়ে হাল্কা করে মামলা দিয়ে চালান দেয়ায় সে জামিনে বেরিয়ে এসে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীদের উপর চড়াও হয়।

জামিনে এসে আমজাদ তার দলবল নিয়ে মামলার এজারভুক্ত প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বলে, তুই আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস, তোর কপালে খারাপি আছে। তুই সাপে গর্তে পা দিয়েছিস। এদিকে, যেই ঘরে থেকে আমজাদকে মাদক সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই ঘরে ঐ সময় আমজাদের স্ত্রীও অবস্থান করে ছিল। আইন অনুযায়ী সেও ঐ মামলার আসামী। তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। আবার এসআই ওমর ফারুক যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ হয়ে ডেমরা থানাধীন এলাকায় অভিযানে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ঐ থানাকে অবহিত করার কথা থাকলেও সে এই নিয়ম অমান্য করে শুধুমাত্র সোর্সের দেয়া তথ্যমতে আমজাদকে গ্রেপ্তার করে গ্রেপ্তারের স্থান পরিবর্তন করে মামলা রুজু করে।

এসআই ওমর ফারুকের এই নাটকিয়তার পেছনে মুলরহস্য ছিলো আমজাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও আমজাদের পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও আমজাদের এক ভগ্নিপতি বর্তমানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলাকালে এসআই ওমর ফারুক আসামী আমজাদ হোসেনের মুঠো ফোনে তার ভগ্নিপতি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছিলেন এবং এসআই ওমর ফারুক তাকে নিশ্চিত করে বলেন, স্যার বিষয়টি দেখছি। আমজাদ ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেও সে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবু তাহেরে ছেলে। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে। কিন্তু কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দিঘিরপাড় নামে কোন গ্রামের অস্থিত্ব নেই।

তাহলে মামলায় কেন এই ভুল ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। আবার ডগাইর বড়ভাঙ্গা মসজিদের পাশে ও বোর্ডমিলের পাশে আমজাদের স্থায়ী দুটি বাড়ী আছে বলে সুত্রে জানা যায়। এব্যাপারে এসআই ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কথা বলবো না। কিছু জানতে হলে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসি স্যারের নিকট জিজ্ঞেস করুন। ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। অপরাধ প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বাকী ৫৪ বোতল গেলো কোথায় এমন প্রশ্ন প্রত্যক্ষদর্শীদের। শুধু এখানে শেষ নয় মাদক উদ্ধার করা হলো ডেমরা থানাধীন ডগাইর এলাকার ৫১ নং নতুনপাড়া নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর ৭ তলার আমজাদের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট থেকে। অথচ মামলায় উল্লেখ করা হয় আমজাদকে আটক করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনপাড়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে। আবার যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ কিভাবে ডেমরা থানাধীন এলাকায় অভিযানে গিয়ে মাদক উদ্ধার করলো তা নিয়েও উঠে নানা প্রশ্ন। যদি ডেমরা থানাকে বিষয়টি অবগত করে অভিযান করা হয়ে থাকে তাহলে মামলায় ঘটনার স্থান কেন যাত্রাবড়ীর কোনাপাড়া বাসষ্ট্যান্ড উল্লেখ করা হলো।

এসআই ওমর ফারুক ও ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী (বর্তমানে সুত্রাপুর থানার ওসি) মাদক ব্যবসায়র নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলে নিশ্চিত করে একাধিক সুত্র। এ বিষয়ে অপরাধ বিচিত্রা নিবিড় অনুসন্ধান শেষে একাধিক সংবাদ করে। সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত। অনন্ধানে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই ওমর ফারুক ১৬ এপ্রিল-২০১৯ নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া মাদক ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনকে তার বাসা থেকে অন্তত ৬০ বোতল ফেন্সিডিল সহ প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেপ্তার করে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে।

কিন্তু গ্রেপ্তারের ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে, আমজাদের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার না করে এবং ৬০ বোতলের পরিবর্তে ৬ বোতল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা রুজু করে তাকে আদালতে চালান দেয়ার পেছনের রহস্য ছিলো এসআই ওমর ফারুক থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ সাথে সমন্বয় করে আসামী আমজাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পিত নাটক। আমজাদকে ৬ বোতল ফেন্সিডিল সহ জব্দ দেখিয়ে চালান করায় সে অল্প সময়ের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে আসে এবং প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি দেয়।

অর্থাৎ মোটা টাকার বিনিময়ে ওসি কাজী ওয়াজেদ ও এসআই ওমর ফারুক মাদক ব্যবসায়ী আমজাদকে কঠিন শাস্তির হাত থেকে বাচিয়ে হাল্কা করে মামলা দিয়ে চালান দেয়ায় সে জামিনে বেরিয়ে এসে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীদের উপর চড়াও হয়। জামিনে এসে আমজাদ তার দলবল নিয়ে মামলার এজারভুক্ত প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষীকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বলে, তুই আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস, তোর কপালে খারাপি আছে। তুই সাপে গর্তে পা দিয়েছিস। এদিকে, যেই ঘরে থেকে আমজাদকে মাদক সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই ঘরে ঐ সময় আমজাদের স্ত্রীও অবস্থান করে ছিল। আইন অনুযায়ী সেও ঐ মামলার আসামী।

তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। আবার এসআই ওমর ফারুক যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ হয়ে ডেমরা থানাধীন এলাকায় অভিযানে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী ঐ থানাকে অবহিত করার কথা থাকলেও সে এই নিয়ম অমান্য করে শুধুমাত্র সোর্সের দেয়া তথ্যমতে আমজাদকে গ্রেপ্তার করে গ্রেপ্তারের স্থান পরিবর্তন করে মামলা রুজু করে। এসআই ওমর ফারুকের এই নাটকিয়তার পেছনে মুলরহস্য ছিলো আমজাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া ও আমজাদের পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও আমজাদের এক ভগ্নিপতি বর্তমানে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলাকালে এসআই ওমর ফারুক আসামী আমজাদ হোসেনের মুঠো ফোনে তার ভগ্নিপতি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছিলেন এবং এসআই ওমর ফারুক তাকে নিশ্চিত করে বলেন, স্যার বিষয়টি দেখছি। আমজাদ ডগাইর নতুনপাড়া এলাকার একজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী হলেও সে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবু তাহেরে ছেলে। তার গ্রামের বাড়ী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে।

কিন্তু কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দিঘিরপাড় নামে কোন গ্রামের অস্থিত্ব নেই। তাহলে মামলায় কেন এই ভুল ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। আবার ডগাইর বড়ভাঙ্গা মসজিদের পাশে ও বোর্ডমিলের পাশে আমজাদের স্থায়ী দুটি বাড়ী আছে বলে সুত্রে জানা যায়।
এব্যাপারে এসআই ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কথা বলবো না। কিছু জানতে হলে আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসি স্যারের নিকট জিজ্ঞেস করুন। ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। অপরাধ প্রমানিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

20 + seven =