সান্তার প্রেমের ফাঁদে নিঃস্ব নাজমুল হাসান রেমন

0
756

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকার সুন্দরী রমনী শান্তা ইসলাম মৌ তার প্রেমের ফাঁেদ বন্দি করে ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান রেমনের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে। মোটা অংকে টাকা হাতিয়ে নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি প্রতারক শান্তা। বরং সে নাজমুলের নামে ৪টি নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে তাকে জেলখাটানো সহ ১শ মাইল দৌড়ের উপরে রেখেছে। আদালতে হাজিরা দিতে দিতে নাজমুলের অবস্থা নাকাল। আর ছেলের জন্য চোখের জলে আদালতের বারান্দা ভিজাচ্ছে নাজমুলের বৃদ্ধামাতা নাজমা হাসান।


ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন কল্যানপুর এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান রেমনের সাথে ২০ জানুয়ারী-২০১৯ তারিখে পরিচয় হয় তেজগাঁও থানাধীন তেজকুনী পাড়ার ১৬৩/৩ নং বাসার ভাড়াাটিয়া শান্তা ইসলাম মৌ এর সাথে। পরিচয়ের সুবাদে শান্তা ধীরে ধীরে নাজমুলের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তুলে। শান্তা একপর্যায়ে সাংসারিক অসুবিধার কারন দেখিয়ে নাজমুলের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নেয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত দেয়ার ওয়াদা করে।

কিন্তু এক সময়ে নাজমুল টাকা ফেরত চাইলে শান্তা টাকা ফেরত দিতে নানা রকম টালবাহানা দেখাতে থাকে এবং বন্ধত্বের সম্পর্ক আরো গভীর করা চেষ্টা করে। নাজমুল সরল বিশ^াসে শান্তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে। নাজমুল গত ২১/০৪/২০১৯ তারিখে শান্তার আমন্ত্রনে টাকা আনার জন্য তার বাসায় গেলে সে তাকে যথাসাধ্য আপ্যায়ন করে এবং নাজমুলকে শান্তা প্রস্তাব দেয় তাকে বিয়ে করার জন্য। এসময় শান্তা নাজমুলকে বলে তার স্বামী মারা গেছে। তাকে বিয়ে করে দুজনে সুখের সংসার গড়বে।

নাজমুল শান্তার কথা বিশ^াস করে তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে। গত ১৬/০৫/২০১৯ তারিখে শান্তা নাজমুলকে খবর দেয় সে দারুস সালাম রোডের টেকনিক্যাল মোড়ে এক্সিডেন্ট করে অসুস্থ্য হয়ে বাসায় আছে। তাকে দেখার জন্য বাসায় আসে। নাজমুল শান্তার কথামতো তাকে দেখার জন্য তার বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে নাজমুল দেখতে পায় শান্তা সুস্থ্য আছে, সে মিথ্যা কথা বলেছে। শান্তা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার বড় বোন মনি বেগব, মনির স্বামী কামাল, ছোট বোন পুতুল এবং তার ভাই খোকন সহ ৪/৫ লোকজন নিয়ে অবস্থান করছে।

এসময় শান্তা নাজমুলকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে তাকে ঐ দিনই বিয়ে করা করার কথা বলে। এতে নাজমুল রাজি না হইলে শান্তারা সবাই মিলে তাকে একটি রুমের মধ্যে বন্দি করে বাইরে দিয়ে তালা মেরে তেজগাঁও থানা পুলিশকে খবর দিয়ে বাড়ী এনে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে শ্লীলতাহানীর একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩০(০৫)১৯। ঐ মামলায় নাজমুর দীর্ঘ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায়। জেলে থাকা অবস্থায় শান্তা নাজমুলের সাথে দেখা বলেন, তাহাকে বিবাহ না করিলে এবং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করিলে তাকে মামলা থেকে মুক্ত করা হবে না।


সুত্র জানায়, শান্তা নাজমুলের মতো বিভিন্ন পুরুষদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে তেজগাঁও থানার সাবেক ওসি মাজাহারুলের শেল্টারে থেকে একাধিক পুরুষের নামে অন্তত অর্ধডজন মামলা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এবিষয়ে অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায়। চলবে..

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen + fifteen =