দায়টা কোনভাবেই সংগঠনের নয় : গোলাম রাব্বানী

0
730

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদতে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এর দায় ছাত্রলীগের নয় বলে দাবি করেছেন গোলাম রাব্বানী।জানা যায়, রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।

পরে দিবাগত রাত তিনটার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।আবরার হত্যাকান্ডের ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং সহ সভাপতি মুস্তাকিম ফুয়াদসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আবরার ফাহাদকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। তাকে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নং রুমে হত্যা করা হয়। রুমটি থেকে হত্যার বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। বাবা বরকত উল্লাহ এনজিও কর্মী। আর মা রোকেয়া বেগম কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার বড়। তার ছোট ভাই ঢাকা কলেজে পড়ে। আবরার ফাহাদ শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

মারা যাওয়া আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। ময়নাতদন্তে জানা যায়, মারধরের কারণে রক্তক্ষরণ ও ব্যথায় তার মৃত্যু হয়।

সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো গোলাম রাব্বানী ফেসবুকে স্ট্যাটস দেন। তাতে লিখেন, “দায়টা কোনভাবেই সংগঠনের নয়, সংগঠন তো শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হবার দীক্ষা দেয়; সত্য, সুন্দর, ইতিবাচকতা আর মানবিকতার জয়গান গাইতে শেখায়।

দায়টা ব্যক্তি বিশেষের। তবে পরিতাপের বিষয়, এক মন দুধে কয়েক ফোটা গো-মূত্রের ন্যায় গুটিকয়েক বিপথগামী, প্রতিক্রিয়াশীলদের অপকর্মের দায়ভার পুরো সংগঠনের উপরই বর্তায়।

ঘটনা যাই হোক, আইনের ছাত্র হিসেবে এটুকু বুঝি, মার্ডার ক্যান নট বি জাস্টিফাইড বাই এনি মিনস! অপরাধীর একটাই পরিচয়, সে অপরাধী! সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আবরারের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।”

উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। আবরার ফাহাদের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের পেছনে, বাম হাতে ও কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত আঘাতের কালো দাগ দেখতে পাওয়া গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − fourteen =