জেনে নিন টি-ব্যাগের ক্ষতিকর দিক গুলো

0
1124

ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা পান না করলে যেন ঘুমের ঘোরটাই কাটতে চায় না! সকাল-বিকেল কাজের ফাঁকে এক কাপ চায়ে গলা না ভেজালে যেন শরীরটা চাঙ্গা হতে চায়না। এছাড়া যারা বাড়িতে চটপট চায়ের তেষ্টা মেটাতে অনেকেই টি-ব্যাগের উপরেই ভরসা রাখেন।

তবে টি-ব্যাগের মাধ্যমে শরীরে ঢুকছে কোটি কোটি বিষাক্ত প্লাস্টিক কণা। সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। চলতি মাসেই ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামের মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নাথালি টুফেঙ্কজি পরীক্ষা করে দেখেন, প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগগুলো গরম জলে ডোবালে সেগুলো থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা মিশে যায়। তিনি ও তার সহকারী গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, একটি টি-ব্যাগের থেকেই চায়ের সঙ্গে মেশে ১,১০০ কোটি (১১ বিলিয়ন) মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ৩০০ কোটি ন্যানোপ্লাস্টিক কণা।

অধ্যাপক টুফেঙ্কজি জানান, বেশ কয়েকটি সংস্থা কাগজের পরিবর্তে প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগ বানাচ্ছে। আর এই সব টি-ব্যাগ থেকেই আমাদের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কার্সিনোজেনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন তারা।

অধ্যাপক টুফেঙ্কজির মতে, টি-ব্যাগে যে পিনের সাহায্যে সুতো আটকানো থাকে সেই পিনও আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঘাতক হতে পারে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা এফএসএসআই-ও এ বিষয়ে অধ্যাপক টুফেঙ্কজির সঙ্গে একমত হয়ে টি-ব্যাগের পিনের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে চা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকও টি-ব্যাগ ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা করছেন। নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক সপ্তাহে একজন ব্যক্তির শরীরে প্রায় ৫ গ্রাম প্লাস্টিক প্রবেশ করে টি-ব্যাগের সাহায্যে। সুতরাং টি-ব্যাগে ব্যবহৃত উপাদান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − 6 =