কামরুল হাসান রুবেলঃ ঢাকার ধামরাইয়ে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী(১৩) ধর্ষণের শিকার হয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের স্ত্রী উজালা বেগমকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এঘটনায় বিচারের নামে টাকা ভাগভাটোয়ারার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি মেম্বারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা । শুক্রবার ( ২৫ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগীর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায় , মঙ্গলবার (৩০ জুলাই ) বিকেলে ওই স্কুল ছাত্রী প্রতিবেশী চৌহাট ইউনিয়নের মুন্সীচর গ্রামের মোকছেদ আলীর (৫৫) বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোকছেদ আলী ভয়-ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে আবার হুমকির মুখে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি ।
এরপর পরবর্তীতে দুই মাসে হঠাৎ ওই শিক্ষার্থীর শারিরীক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার মা। পরে তার মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত আসামী মোকসেদ ও তার স্ত্রী উজালা বেগমের সহয়তায় একাধিকবার ধর্ষণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষক মোকসেদ ও আমতা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেনসহ একটি চক্র বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায়। গত সোমবার ( ২১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বিচারের নামে ওই চক্রটি এক লক্ষ আশি হাজার টাকা নিয়ে ভুক্তোভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা কে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জোর করে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সামাজিকভাবে আপোসযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত উজালা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।