সাংবাদদাতা: জনগনের নিরাপত্তার জন্য যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারাই যদি নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে তবে জননিরাপত্তা থাকবে কিভাবে? পুলিশের সার্জেন্ট তারিকুল ইসলাম। বিপি নং ৮৪১৫০৬৬২৪০। বর্তমানে ট্রাফিক বিভাগ পূর্ব ডেমরা জোনে সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত। তার দেশের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাস ডাঙ্গা গ্রাম। তথ্যে জানা গেছে তিনি ২০১৪ সালে সার্জেন্ট নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালে নিয়োগ পান। অভিযোগ রয়েছে তিনি বিয়ের তথ্য গোপন করে চাকুরি নেন যেটা এক বিরাট অপরাধ। তার বিরুদ্ধে পরকীয়া, নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ রয়েছে। স্ত্রী নির্যাতন ও হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পরিসংখ্যান বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে ২ জানুয়ারী আড়াই লাখ দুই টাকা দেনমোহরে হোসনে আরার সাথে বিয়ে হয়। সার্জেন্ট পদে চাকুরি নিতে টাকা লাগবে একথা বলে তিনি শশুর বাড়ি থেকে ৮ লক্ষ টাকা নেন। ২০১৬ সাল থেকে এক বছর তিনি স্ত্রীসহ ঢাকার পূর্ব রামপুরার হাইস্কুল গলিতে ৮৯/এফ নং বাড়িতে ভাড়া হিসেবে থাকতেন। বিয়ের পর থেকে তার স্বভাব পাল্টাতে থাকে। মোবাইলে বিভিন্ন নারীর সাথে সন্দেহজনক আলাপ, পরকীয়ায় আসক্ত ও বেশি রাতে বাসায় ফেরা তার স্বভাব হয়ে দাঁড়ায়।
প্রায়ই মাতাল অবস্থায় বাসায় ফিরতেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্ত্রী হোসনেআরাকে অমার্জিত ভাষায় গালাগালি করতেন ও মারধর করতেন। তার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য হোসনেআরার পিতা প্রায়ই তাকে নিজ বাসায় নিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হোসনেআরা বলেন বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তারিকুলের হিংস্রতার কাছে সবাই মাথানত করছে। অবশেষে নিরাপত্তার জন্য হোসনেআরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
কিন্তু কোন পুলিশ কর্মকর্তা তার অসহায়ত্বকে গ্রহণ করে নাই। অত:পর ভিকটিম হোসনেআরা উপ-পুলিশ কমিশনারকে মোৗখিকভাবে অবহিত করেন। এতে তারিকুল আরও হিংস্র হয়ে ওঠে ও স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। এভাবে একের পর এক চেষ্টা করে কোন প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারিকুলের স্ত্রী। পুলিশের উর্দ্ধতন বিভাগের তদন্ত চলছে অথচ তারিকুল এতটুকুও দমে নাই বলে তার স্ত্রী জানান। হোসনেআরা জানান ২ বছর আগে তার পিতা মারা যান।
মাতাও অসুস্থ। এমতাবস্থায় তারিকুল তাকে কোন ভরনপোষন দিচ্ছে না। এমন অন্যায় জুলুমের প্রতিকার চাওয়ার কোন জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই বলে মন্তব্য করেন হোসনেআরা। স্ত্রীর ওপর অমানবিক নির্যাতন, পরকীয়া ও যৌতুক নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সার্জেন্ট তরিকুল অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে মিডিয়ার সাথে কথা না বলাই ভাল। তার এহেন অপকর্মের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।