জলদস্যু হেলালে’র কব্জায় অপহৃত বোট ও বোটের সামগ্রী

0
483

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার অন্তর্গত ধলঘাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াত প্রকাশ একহাইত্তে পেশায় একজন মাঝি। তার পেশাগত জীবনের সকল সম্বল দিয়ে ক্রয় করেন “বদর আউলিয়া” নামীয় মাছ ধরার বোটটি।সাধারণত মাছ ধরার বোটগুলির বেশিরভাগেরই কার্যক্রম ফিসারীঘাট এলাকায় হয়ে থাকে।

ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াতও সেই সুবাদে ফিসারীঘাটে তার বোট নিয়ে আসতেন।মাছ কেনা বেঁচা শেষে বোটের প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে পূণরায় সমুদ্রে চলে যেতেন।ফিসারীঘাট আসার সুবাদে তার সাথে পরিচয় ঘটে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) নুরুন্নবীর পুত্র মাহমুদুন্নবী হেলাল নামীয় নামসর্বস্ব এক ধূর্ত তেলের দোকানদার ও তার গ্যাং এর সাথে।পরিচয়ের সুবাদে ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্ন কৌশলে উক্ত ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াতের সাথে সু সম্পর্ক গড়ে তুলে।ব্যবসায়িক সুত্রে ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াত ফিসারীঘাট এলাকার কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী হতে টাকা ধার নেয় এবং যথাসময়ে তা ফেরত প্রদানে ব্যর্থ হয়।পরবর্তীতে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল বিভিন্নভাবে মধ্যস্থতা করে।পরবর্তীতে ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলালের পরামর্শে উক্ত ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াত প্রকাশ একহাইত্তে তার মাছ ধরার বোটটি ফিসারীঘাটের বোট রাখার স্থানে নোঙর ফেলে গা ঢাকা দেয়।দীর্ঘদিন হতে তার আর কোন প্রকার হদিস পাওয়া যায়নি।উক্ত ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াত গা ঢাকা দিলে(না’কি গুম..?) ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল গংরা উক্ত মাছ ধরার বোটটি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নানারকম পরিকল্পনা গ্রহণ করে।পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উক্ত “বদর আউলিয়া” নামীয় মাছ ধরার বোটটির সর্বত্র রঙ করিয়ে বোটের নামফলকটি কৌশলে মুছে ফেলে নতুন নাম দেওয়া হয় “আল্লাহর দান”।এরপর বোটটি লোকচক্ষুর অন্তরালে কব্জা করে বোটটি ঘাটের একপ্রান্তে এনে নোঙর করে রাখা হয়।সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখার জন্য বোটটিতে একজন মানুষকে(যার নাম শুক্কুর,বাড়ি মহেশখালী)লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল গংরা।এরপর ধীরে ধীরে বোটটির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ও এতে থাকা বিভিন্ন মাছ ধরার জালসহ ইত্যাদি তার নামসর্বস্ব তেলের দোকানে এনে জমা করে রাখে ও গোপনে বিক্রয় করা শুরু করে।পরে সবার অলক্ষে গোপনে বোটটি বিক্রি করার কাস্টমার খুঁজতে শুরু করে এবং কাস্টমার পেয়েও যায় (নাম গোলাম কাদির)।কিন্ত,বোটের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় প্রকৃত দাম দিয়ে বোটটি বিক্রয় করতে পারেনি।তারপরও হাল ছেড়ে দেননি এই ধূর্ত হেলাল ও তার গংরা।গোপনে বোটের প্রকৃত মূল্যের তিন ভাগের এক ভাগে উক্ত বোটটি বিক্রয় করার জন্য এক ক্রেতার সাথে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলে।কিন্ত,ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াতের ন্যায় উক্ত ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলালও ফিসারীঘাটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী হতে টাকা ধার নেয়,পরে টাকা ফেরত দিতে নানা তালবাহনা শুরু করে।পাওনাদাররা টাকার জন্য আসলে সে নিজেকে উক্ত বোটের মালিক দাবী করে বোট বিক্রি করে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা প্রচার করতে শুরু করে।কিন্ত,পরে টাকার জন্য স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় পাওনাদাররা তার নামে অভিযোগ দায়ের করিলে ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল দোকান পেলে পালিয়ে যায় এবং বোটটি গোপনে সরিয়ে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে।যার ফলশ্রুতিতে বোটটি ঘাট হতে সরিয়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী এক খালের উপর নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্ত,মাছ ধরার বোটটির ইঞ্জিনে প্রব্লেম ও জোয়ারের পানি না থাকায় বোটটি নিয়ে যেতে সক্ষম হননি উক্ত ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।এভাবে বেশ কিছুদিন উক্ত খালে বোটটি নোঙ্গর করে রাখা হয়।পরবর্তীতে উক্ত বোটটি নোঙর করে রাখা অবস্থায় রাতের আধারে গোপনে বোটটি মেরামত করে সবার অলক্ষে উক্ত খাল হতে সরিয়ে নেওয়া হয়।অদ্যাবধি বোটের মালিক ইয়াহিয়া প্রকাশ মোহাম্মদ হায়াত@ এক হাইত্তে ও তার বোটের কোন প্রকার হদিস মেলেনি।বোটটি উদ্ধার,বোটের নিখোঁজ মালিক ইয়াহিয়া প্রকাশ একহাইত্তেকে উদ্ধারপূর্বক ধূর্ত মাহমুদুন্নবী হেলাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় লোকজন ও বোটের মালিকরা অনুরোধ জানান।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × three =