আ: জলিল বেপারী: গাজীপুর মহানগর পূবাইল মেট্রো থানার ওসি মো: নাজমুল হক ভূইয়া ও ওসি তদন্ত মো: শাহআলম মোল্লার নির্দেশে এ.এস.আই জহিরুল ইসলাম ও এ.এস.আই আরিফুল আলম ও ফোর্স কনস্টেবল মাসুদ রানা, কং মো: মিরাজ উদ্দিন, কং মো: রুহুল মিয়া সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য ০৭/১০/২০১৯ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ২৩.১০ মিনিট রাত্রি কালীন অভিযানে অত্র থানার মেঘডুবী এলাকায় ডিউটি করা কালীন সময় গোপন সূত্রে সংবাদ পায় যে, অত্র থানাধীন হায়দরাবাদ মাদ্রাসার দক্ষিন পাশে হাজী আলী আজমের বাড়ীর পূর্ব পাশে রমনী কুমার স্কুল গামী ইটের ছলিং রাস্তায় কতিপয় লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় বিক্রয় করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অফিসার ইনচার্জকে অবগত করাইয়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ তাৎক্ষনিক উক্ত স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া রাত আনুমানিক ২৩.৩০ ঘটিকায় উল্লেখিত স্থানে পৌছা মাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পাইয়া কতিপয় লোক দৌড়াইয়া পালানোর চেষ্টা কালে অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আমানুল্লাহ (২৫) নামে একজনকে হাতেনাতে আটক করে এবং অন্য একজন কৌশলে দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়।
অতঃপর মোবাইল ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা এস.আই (নিঃ) দিদার আলম কে জানাইলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে আসেন এবং উপস্থিত সাক্ষি মো: আলী (৪৭) সহ অন্যান্যদের মোকাবেলায় ধৃত আসামী আমানুল্লাহ (২৫) পিতা: হাজী হাছেন আলী, সাং-হায়দরাবাদ, (হায়দরাবাদ মাদ্রাসার দক্ষিন পাশে) থানা: পূবাইল, জেলা: গাজীপুর এর দেহ তল্লাশী করিয়া তাহার পরিহীত লুঙ্গীর পিছনদিকে গোজা অবস্থায় পলিথিন দারা পেছনো একটি পুরাতন পিস্তল, যাহার দৈর্ঘ্য কোনাকুনি ভাবে ১৭.৫ সে.মি।
এবং একটি ম্যাগাজিন যাহার দৈর্ঘ্য ১০ সে.মি. এবং এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামীর নাম ইকবাল (২৮) পিতা: আব্দুল কাদের জিলানী, সাং- হায়দরাবাদ, থানা-পূবাইল, জেলা- গাজীপুর বলিয়া জানায়। ধৃত আসামী অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিজ হেফাজতে রাখিয়া পরস্পর যোগ সাজসে অত্র এলাকায় বিক্রয় করিয়া আসিতেছে বলে স্বীকার করে।
তার বিরুদ্ধে এ.এস.আই জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে নিয়মিত অস্ত্র মামলা রুজু করেন। যাহার মামলা নম্বর ০৯ তারিখ ০৮/১০/২০১৯ ধারা ১৯ অ/ (ঋ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন। উক্ত মামলার তদন্ত চলিতেছে এবং পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উক্ত ধৃত আসামীকে গ্রেপ্তার করার সময় ধস্তাধস্তির কারনে এ.এস.আই আরিফুল আলম ডান হাতে আঘাত প্রাপ্ত হন এবং তাৎক্ষনিক তাহাকে শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল টঙ্গী গাজীপুরে চিকিৎসা করা হয়।