সিঙ্গাপুর করাপ্ট প্র্যাকটিসেস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো মেরিনা বে জুয়ার সঙ্গে জড়িত ৪০ জন প্রভাবশালী বাংলাদেশিদের তালিকা দিয়েছে। এই ৪০ জনই মেরিনা বে-তে গোল্ড মেম্বার হিসাবে পরিচিত। এই ৪০জনই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এমপি এবং মন্ত্রী বা তাদের পুত্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে-তে শুধু এই ৪০জন নয়। আরো অনেকেই নিয়মিত জুয়া খেলতে যান। তবে এই ৪০জন সেখানে গিয়ে বিশেষ সুবিধা পান।
মেরিনা বে- এখন জুয়ার জন্য প্রসিদ্ধ একটি স্থান। সেখানে জুয়া খেলে অনেক বাঙালি শ্রমিক নি:স্ব হয়ে যাচ্ছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে যেসমস্ত ভিআইপিরা মেরিনা বে- তে জুয়া খেলেন তারা নি:স্ব হননি। বিপুল পরিমাণ টাকা খোয়ালেও তাদের কিছু যায় আসে না।
সূত্রমতে, যে সমস্ত ব্যক্তি মেরিনা বে-তে গোল্ড মেম্বার হিসাবে রয়েছেন তাদের মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও সরকারের দুজন মন্ত্রীও মেরিনা বে-তে নিয়মিত জুয়া খেলেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরকারের এমপিদের মধ্যে অন্তত ৩জন এমপির নাম এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে যারা মেরিনা বে-তে জুয়া খেলতেন। এছাড়া আলোচিত জুয়াড়ি যারা মেরিনা বে-তে জুয়া খেলতেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আটক করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, গত মেয়াদের সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পুত্র মেরিনা বে-তে নিয়মিত জুয়া খেলেন। প্রতিমাসে অন্তত একবার তিনি সিঙ্গাপুরে যান। তার সিঙ্গাপুরে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো জুয়া খেলা। ঐ মন্ত্রী পুত্রর সঙ্গে জি কে শামীমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
এছাড়াও ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভার দুজন এমপিও মেরিনা বে-তে নিয়মিত জুয়ার আসরে যেতেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।