রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তাজবীর হাসান সিসিলের মারপিট থেকে ব্যবসায়ী বাবা আজু মন্ডলকে রক্ষা করতে গিয়ে আজিম উদ্দিন (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেøক্স এবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত স্থানীয় মাছপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর নিয়মিত ছাত্র।আজিম উদ্দিনের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল গ্রামে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আজিম উদ্দিনের বাবা পাট ব্যবসায়ী আজু মন্ডল জানান, তাঁর ভাইরার ছেলে সেলিম কৃষিকাজের পাশাপাশি সুদের কারবার করে। সাম্প্রতি মাছপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর ছেলে এবং পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তাজবীর হাসান সিসিল মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে সেলিমের কাছে।
গতকাল বিকেলে সেলিম মাছপাড়া ইউনিয়নের সুলতান মোড় এলাকায় থাকা তাঁর (আজু মন্ডল) দোকানে আসে। ওই সময় হঠাৎ করেই ছাত্র লীগ নেতা তাজবীর হাসান সিসিল ও তার বন্ধু রিংকুসহ তিনজন সেখানে গিয়ে সেলিমকে আটকে রেখে মারপিট করে। এ সময় আজু মন্ডল ভাতিজা সেলিমকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক পেটাতে শুরু করে সিসিল। এ অবস্থায় তাঁর ছেলে আজিম উদ্দিন এগিয়ে গেলে সিসিলের নির্দেশে রিংকু গুলি চালায়। এতে আজিম উদ্দিন রক্তাক্ত জখম হয়।
এ সময় আজিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই তপু মন্ডল ওই স্থানে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেøক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. রুমিলা জানান, আজিম উদ্দিনের বাম হাত ভেদ হয়ে গুলিটি তার বুকে এসে লেগেছে। ফলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক, প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। যে কারণে ওই সময়ই আজিম উদ্দিনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাংশা থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, তাঁরা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
শৈত প্রবাহে নাকাল জনজীবন- রাজবাড়ীর হত দরিদ্ররা শীতের কাপড়েরর অভাবে কষ্টে এম,মনিরুজ্জামান,রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
প্রচন্ড শৈত প্রবাহে নাকাল এখন রাজবাড়ী জেলার বাসিন্দাদের জন জীবন। রোববারসহ গত চারদিন যাবৎ সারা দিন সূর্যের আলোর মুখ দেখা যায়নি। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না, ঘরের বাইরে। সবচেয়ে দূর্ভোগে আছে শিশু, বৃদ্ধ ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ আগুন জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলা শহরের রেলগেট এলাকায় ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতেও মানুষের ভীর ছিলো চোখে পড়ার মত। সেখানে স্বল্প আয়ের হাজারো মানুষ ভীর করেছে, অল্প দামে গরম কাপড় কিনতে। পদ্মার চরাঞ্চলের শত শত নদী সিকস্তী মানুষ শীত বস্ত্রে অভাবে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় নিদারুন কষ্টে আছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৪৫০জন মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, রাজবাড়ীতে এখন শৈত প্রবাহ বাইছে। তীব্র শীতে নিদারুন কষ্টে আছেন হতদরিদ্ররা। তারা ২৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই কম্বলগুলো উপজেলা পর্যায়ে বিতরণও করা হয়েছে।