স্টাফ রিপোর্টার: চেক ডিজঅনার মামলায় ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টের আসামী সেলিনা খানম ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত চশমা প্রতীকে সংরক্ষিত আসন-২১ (ঢাকা দক্ষিণ,ওয়ার্ড নং-৭০/৭১/৭২) এর কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন বিধিতে কোন সাজাপ্রাপ্তা আসামী প্রার্থী হওয়ার বিধান না থাকলেও সেলিনা খানম নির্বাচনী হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করে প্রার্থী হয়েছেন। যা নির্বাচন বিধিতে গুরুত্বর অপরাধ বটে। আইনের চোখ ফাকি দিয়ে কিভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তা নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মতিঝিলস্থ আলিফ কমার্স এন্ড ফাইন্যান্স লিঃ ৭নং দক্ষিণ মান্ডা, সবুজবাগ থানাধীন মোসলেউদ্দিনের কন্যা সেলিনা খানমের নিকট ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা হন।
সেলিনা খানম উক্ত টাকা পরিশোধের জন্য আলিফ কমার্স এন্ড ফাইন্যান্স লিঃ কে উত্তরা ব্যাংক লিঃ মুগদা শাখার অনুকুলে একটি চেক প্রদান করেন। আলিফ কমার্স এন্ড ফাইন্যান্স লিঃ এর পক্ষে মোঃ মোর্শেদ চেকটি একাধিকবার ব্যাংকের উক্ত শাখায় জমা দিলে সেলিনা খানমের একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়।
অতপর মোর্শেদ বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে ১৩৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে আদালত ১৬মে-২০১৮ ইং তারিখে সেলিনা খানমের নামে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেন। অথচ সেলিনা খানম এবিষয়টি গোপন রেখে নির্বাচনী হলফনামা দাখিল করে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন।