রাজধানীর পাইকারি বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। দু’দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে এসব পণ্যের দাম। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। চীনের করোনা ভাইরাস সঙ্কট দীর্ঘায়িত হলে অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টির পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করায় বাজারে আপাতত ঘাটতি নেই পেঁয়াজের।
তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক’দিন ধরে উর্ধ্বমুখী রসুনের দাম। পাইকারি পর্যায়ে গেল দু’দিনে দাম কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। বর্তমানে রাজধানীর শ্যামবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা, রসুন ১১৫ থেকে ১৭০ টাকা ও আদা ৭৫ টাকায়। একজন বলেন, পেঁয়াজ এখন বাজারে আসছে, তাই পেঁয়াজের দাম আগে ৬০ টাকা ছিল, তা কমে এখন ৫২টা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে কিছুটা স্বস্তি এলেও ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষক-পাইকারদের। একজন বলেন, পেঁয়াজের আসল ফল এখন আর নেই। গতবছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজের ফলন কম হয়েছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, মাল বাজারে অনেক আছে, কিন্ত মালের দাম অনেক বেশি। টিসিবির তথ্যমতে দেশে ৪৫ ভাগ আদা আমদানি করা হয় এবং আমদানি করা ২০ শতাংশ রসুনের প্রায় শতভাগই আসে চীন থেকে। চীনের সাম্প্রতিক দুর্যোগ দীর্ঘমেয়াদী হলে বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ বিদিশা হক বলেন, আগামী দুই তিন মাসে যদি এর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ না ঘটে। তখন এর প্রভাব পড়বে, সেটা থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে না। এখন আমাদের দেখতে হবে, চীন ছাড়া এই বাণিজ্য সম্পুর্ক গুলো আমরা আর কোন কোন দেশের সাথে করতে পারি। সরবরাহ সংকট বাড়লে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।