অপরাধ বিচিত্রা: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবু তাহের এর নাবালিকা শিশু মমতাজের নেছা মেমরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়া সুলতানা (১৪) কে প্রতিবেশী মৃত আব্দুর রহমান মাষ্টার এর লম্পট ছেলে দুই সন্তানের জনক মোঃ তারেক (৩৫) গত ১৪/০২/২০২০ইং তারিখে ঘরে ঢুকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এতে নাবালিকা শিশু মারিয়া সুলতানার জরায়ু ফেটে রক্ত ক্ষরন হলে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় রায়পুর সেবা হসপিটাল (প্রাঃ) নিয়ে গেলে ডাঃ শফিকুল ইসলাম মারিয়ার জরায়ুতে ৩/৪ টি সেলাই দিয়ে মারিয়ার রক্ত ক্ষরন বন্ধ করে দেয়। ধর্ষক তারেক ধর্ষিতার পরিবারকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেওয়ায় অসহায় পরিবারটি মামলা করতে পারে নাই বলে মামলার বিবরনে জানা যায়। দুই সন্তানের জনক লম্পট তারেক একে একে বাদীনি তানিয়া ও মারিয়া সুলতানা দুই বোনকে ধর্ষন করে।
গত ২৮/০৪/২০২০ইং তারিখে রায়পুর থানায় জি.আর মামলা নং- ২০/২০২০ইং, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করে। গত ২৯/০৪/২০২০ইং তারিখে ভিকটিম মারিয়া সুলতানা তারিন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দেয় ধর্ষক তারেকের বিরুদ্ধে। তারেক যুবলীগ করায় তারেকের মামাতো ভাই রায়পুর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য জাকারিয়া বিন মামুনের সেল্টারে তারেক আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
তারেকের এক ভাই সোহাগ বি.এন.পি ধানের শীষ নিয়ে চেয়ারম্যানের নির্বাচন করেন। আরেক ভাই বকতিয়ার উদ্দীন শামিম নোয়াখালী পুলিশে ইন্সপেক্টর থাকায় আরো প্রভাব খাটিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় বলে ধর্ষিতা মারিয়া সুলতানা ও তার পরিবার অভিযোগ করেন। আসামী তারেক ভিকটিমের পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করিতেছে।
তারেকের মোবাইল নং- ০১৭৫৪৫৬৪০০০, ০১৮৮৮৬৮৫১১, ০১৮৮৩৮৬৫২৬১, ০১৩১৩৬৮৪৬০৩, ০১৭০৮৭৩৮৮৬১। যদি ভিকটিমের পরিবার মামলাটি প্রত্যাহার না করে, তাহলে আসামী তারেক ভিকটিমকে হত্যা করিয়া লাশ গুম করিবে বলে হুমকি দেয়। আসামী তারেক ভিকটিমের মাতা শাহানা আক্তারকে দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে শারীরিকভাবে মারধর করে। ভিকটিম তারেকের বিরুদ্ধে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়।
ইন্সপেক্টর শিপন বড়–য়া মামলাটি দুর্বল করার জন্য একজন ডাব বিক্রেতা হেল্লাল, পিতা- মিছির মিয়া, সাংÑ রাখালিয়া, থানা- রায়পুর, জেলা- লক্ষ্মীপুরকে হয়রানী করার জন্য তাহাকে অত্র মামলায় গ্রেফতারের পাঁয়তারা করে বলে ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ করেন। ধর্ষিতা ও একাধিক সূত্রের অভিযোগ তারেক নিয়মিত থানায় যাতায়াত করেন। বর্তমানে ভিকটিমের পরিবার আসামী তারেকের ভয়ে রায়পুর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।