অবি ডেস্ক: মানবপাচার, মানি লন্ডারিং ও ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কারাবাসের মেয়াদ ৯ই আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন দেশটির আদালত। পাপুলের বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে সিআইডির অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট ও ফলোআপ দেয়া কুয়েতের প্রতিষ্ঠিত আরবি দৈনিক আল-কাবাস তার সর্বশেষ রিপোর্টে জানিয়েছে, ২৭ শে জুলাই (সোমবার) আদালতে ওঠেছিল বহুল আলোচিত পাপুলের কেস। তার আইনজীবিরা বরাবরের মতো জামিন চেয়েছেন। কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক তা নামঞ্জুর করে বাংলাদেশি এমপি পাপুল এবং তার অপকর্মের ৩ সহযোগীকে (কো-একিউজড) ৯ই আগস্ট পর্যন্ত ডিটেনশন অব্যাহত রাখার আদেশ দেন। পাপুলের সহযোগীরা হলেন- মেজর জেনারেল মাজেন আল জাররাহ (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপসারিত কর্মকর্তা) এবং হাসান আবদুল্লাহ আল কাদের ও নাওয়াফ আলী আল সালাহি ( দু’জনের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি)।
জুলাই’র মাঝামাঝিতেও পাপুলের জামিন চাওয়া হয়েছিল। সে সময় ওই সংসদ সদস্যের নিয়োগ করা আইনজীবী প্যানেলের আরজি ছিল যে কোনো শর্তে জামিন আদায়ের। কিন্তু পাপুল আচমকা রিমান্ডকালে দেওয়া স্বীকারোক্তির পুরোটাই অস্বীকারের অপকৌশল নিলে আদালত তাকে দু’সপ্তাহ কারাগারে বন্দি রাখার নির্দেশ দেন। সঙ্গে তার অপকর্মের বড় সহযোগী কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপসারনের পর আটক আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল জাররা আল সাবাহ এবং কুয়েতের আরও দুই নাগরিককেও তদন্তের স্বার্থে জেলে বন্দি রাখতে আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন কুয়েত সিটির মুশরেক এলাকার বাসা থেকে দেশটি অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সদস্যরা আটক করে লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে তার বিপুল অবৈধ সম্পদ এবং অনৈতিক লেনদেনের প্রমাণ মিলে। তার স্বীকারোক্তির সূত্র ধরে পরবর্তী তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রিমান্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। এ পর্যন্ত ৩ দফা তার কারাবাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।